Site icon The News Nest

ফেসবুকের নাম বদলে হচ্ছে ‘মেটা’, কেন এমন সিদ্ধান্ত জুকারবার্গের?

meta

নাম বদলে গেল Facebook Inc-এর। শুক্রবার সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মার্ক জুকারবার্গ জানান, তার কোম্পানি এখন থেকে ‘Meta Platforms Inc’ বা সংক্ষেপে ‘Meta’ নামে পরিচিত হবে। লোগো নীল রঙের, কিছুটা ‘ইনফিনিটি’ চিহ্নের মতো। ‘মেটাভার্স’-এর লক্ষ্য থেকেই এই নয়া নামকরণ সংস্থার।

কিন্তু কেন এমন নাম? কোম্পানির নাম বদলের কারণ হিসাবে জুকারবার্গ বলেন, ‘‘সামাজিক সমস‌্যা নিয়ে লড়াইয়ের মধ্যে থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। এতদিন একটা সীমার মধ্যে বদ্ধ ছিলাম। এবার সেই সীমা ছাড়িয়ে নতুন পর্যায়ের সফর শুরু হয়েছে। আমাদের সংস্থার এখন যে নাম আছে, তাতে আমাদের কাজের পুরো প্রতিফলন ঘটে না। সংস্থাকে একটি ‘মেটাভার্স’ সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন‌্যই নামবদল করা হল।’’

‘মেটাভার্স’ হল সামাজিক যোগাযোগের একটি ভিন্নস্তর। একটি অধিবাস্তব দুনিয়া। এই দুনিয়ায় মানুষ সব কাজই করতে পারবেন ভারচুয়ালি। ‘মেটাভার্স’-এর কথা মাথায় রেখেই সংস্থার নামবদল বলে জুকারবার্গের দাবি। এই ‘মেটাভার্স’ তথা অধিবাস্তবের দুনিয়ায় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ‌্যাপ আগের তুলনায় অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে আত্মপ্রকাশ করবে। তবে জুকারবার্গ জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ‌্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ওকুলাস ইত‌্যাদি অ‌্যাপের মতো ফেসবুক অ‌্যাপটিও যেমন আছে তেমন থাকবে। সাধারণ নেটিজেনদের কৌতূহল ফেসবুক অ‌্যাপটির নামবদল হচ্ছে কিনা তা নিয়ে। সেটি আপাতত হচ্ছে না।

‘মেটা’ মানে কী?

মেটাভার্স শব্দটি নিল স্টিফেনসন তাঁর ১৯৯২ সালের ডিস্টোপিয়ান উপন্যাস ‘স্নো ক্র্যাশ’-এ প্রথম উল্লেখ করেছিলেন। সেই কল্পবিজ্ঞানে সকলে গেমের মতো ডিজিটাল বিশ্বের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট ব্যবহার করে।

জুকারবার্গ মেটাভার্সকে একটি ‘ভার্চুয়াল পরিবেশ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। অর্থাত্ আমাদের ইউনিভার্সের বাইরে এক দ্বিতীয় বিশ্ব। সেই কারণেই মেটা শব্দটির ব্যবহার। এই কৃত্রিম পরিবেশ স্ক্রিনে দেখার পরিবর্তে কার্যত তার ভিতরে ঢুকে যেতে পারবেন। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট, অগুমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাস, স্মার্টফোন অ্যাপ বা অন্যান্য ডিভাইস ব্যবহার করে এই কৃত্রিম এক অন্য জগতে সকলের সঙ্গে দেখা করতে, কাজ করতে এবং খেলতে পারবেন।

অর্থাত্ বাড়ি বসেই একটি হেডসেট পরে দ্বিতীয় জগতে প্রবেশ করা যাবে। সেই কৃত্রিম জগত্ তৈরি করাই এখন মূল লক্ষ্য মার্ক জুকারবার্গের। ভবিষ্যতে এটাই জনপ্রিয় হবে বলে ধারণা তাঁর।

মার্ক জুকারবার্গ ২০০৪ সালে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি একাধিক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছিলেন যে, ফেসবুকের ভবিষ্যতে সাফল্যের চাবিকাঠি মেটাভার্স ধারণার মধ্যে নিহিত। মেটাভার্স ধারণাকে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে এই রিব্র্যান্ডিং আরও কার্যকর হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

Exit mobile version