চলতি বছরে এই নিয়ে তিনবার সফলভাবে উৎক্ষেপণ করল ইসরো। স্বাধীনতা দিবসের পর দিনই সফলভাবে মহাকাশে পাঠানো হল SSLV-D3কে। শুক্রবার সকালে শ্রীহরিকোটার উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে সফলভাবে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে ইসরোর নতুন মিশন। মাত্র ১৩ মিনিটের মধ্যেই কক্ষপথে যথাযথভাবে জায়গা করে নিয়েছে ইসরোর দুটি স্যাটেলাইট।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসেই জোড়া স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে ইসরো। কিন্তু পরে পিছিয়ে দেওয়া হয় উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ। অবশেষে ১৬ আগস্ট সকাল ৯ টা ১৭ মিনিটে পাড়ি দেয় জোড়া স্যাটেলাইট। SSLV-D3 প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত আছে EOS-08 স্যাটেলাইট, যেটি নানাভাবে পৃথিবীর ছবি তোলা এবং নজরদারির কাজ করবে। তার সঙ্গে রয়েছে SR-0 ডেমোস্যাট প্যাসেঞ্জার স্যাটেলাইট।
SSLV-D3/EOS-08 Mission
Tracking images 📸 pic.twitter.com/1TSVx19ZDk
— ISRO (@isro) August 16, 2024
স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল বা এসএসএলভি ভারতের পরীক্ষামূলক ভূপরীক্ষা উপগ্রহ ইওএস-৮ এবং এসআর-০ ডেমো স্যাটেলাইটকে নিয়ে উৎক্ষেপিত হয়েছে। এটি তৈরি করেছে চেন্নাইয়ের নতুন কোম্পানি স্পেস রিকশ। ১২০ টন ওজনের এই বেবি রকেট ৫০০ কেজি ওজনের উপগ্রহ বহন করতে পারে। পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথ পর্যন্ত গিয়ে উপগ্রহকে পৌঁছে দিতে সক্ষম। তুলনায় ভারতের ভারীতম রকেট বাহুবলি অথবা জিএসএলভি এমকে ৩-এর ওজন হল ৬৪০ টন।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কর্তাদের মতে, খুব কম খরচে তৈরি হয়েছে এই জোড়া স্যাটেলাইট। SSLV-D3 অভিযানের খরচও বেশ কম। তার ফলে আগামী দিনে খুব কম খরচে বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে পারবে ইসরো। ফলে মহাকাশ বাণিজ্যে আরও সাফল্য পাবে ভারতের সংস্থা। ১০ কেজি থেকে ৫০০ কেজি ওজনের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে উৎক্ষেপণের ক্ষমতা রয়েছে ইসরোর।