‘বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ’- এই বেগ বা অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে মানব সভ্যতা অসম্ভবকে সম্ভব করতে শিখেছে, অজানার গন্ডি পেরিয়ে জ্ঞানের পরিধির বিকাশ ঘটিয়েছে। বিজ্ঞানমনস্কতা বা বিজ্ঞান চেতনার প্রসার ঘটেছে। জড়, জীব, মহাশূন্য, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক অবস্থান- এই চেতনার দ্বারা বিশ্লেষিত এবং সত্যালোকের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তবে মহাশূন্যের প্রসঙ্গ উঠতেই এই বিজ্ঞানমনস্কতা প্রাথমিক ইঙ্গিত দিয়ে থাকে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ এবং সৌর জগতের পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ ‘চাঁদ মামা’র দিকে। একটু ঘেঁটে দেখা যাক চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশযান প্রেরণে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলির রিপোর্ট কার্ড।
আরও পড়ুন: অ্যাবাকাস থেকে সুপার কম্পিউটার…জেনে নিন কম্পিউটারের পাঁচ কাহন
আগামী ২০২৪ সালের মধ্যেই চাঁদের মাটিতে পা রাখতে চলেছে ইউএই। সূত্র মতে, এই মনুষ্যহীন চন্দ্রযানে থাকবে একটি হোভার, যেটি চন্দ্রপৃষ্ঠে নানান বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম। আরও জানা গেছে, সেখ রাশিদ বিন সঈদ আল মাকতুমের নাম অনুসারেই এই হোভারের নাম হতে পারে ‘রাশিদ’।
এই অভিযানে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হলে চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশযান প্রেরণে ইউএই হয়ে যাবে বিশ্বের চতুর্থ দেশ (প্রথম- ইউএসএ, দ্বিতীয় – রাশিয়া, তৃতীয়- চীন)।
উল্লেখ্য, ভারত, ইজরায়েল, জাপানের মতো দেশ একাধিকবার এই অভিযানে সচেষ্ট হয়েও সফলতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে, ২০২১ সালে ভারত ফের মিশন চন্দ্রের উদ্দেশ্য ‘চন্দ্রযান-৩’ লঞ্চ করতে চলেছে।
লেখা ও ছবি সামশুল আলম
আরও পড়ুন: সিগন্যালে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, জেনে নিন কীভাবে সরিয়ে নিয়ে যাবেন হোয়াটসঅ্যাপের গ্রুপ?