চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েও অক্ষত চন্দ্রযান-২’এর রোভার ‘প্রজ্ঞান’, খোঁজ দিলেন চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

চাঁদের বুকে অক্ষত রয়েছে ভারতের রোভারযান ‘প্রজ্ঞান’। দ্বিতীয় চন্দ্রায়ণ অভিযান শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ হলেও সম্প্রতি নাসা-র পাঠানো ছবি বিশ্লেষণ করে ইসরো-কে এই তথ্য জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের প্রযুক্তিবিদ শানমুগা সুব্রহ্মণ্যন।

সুব্রহ্মণ্যন দাবি করেন, বাজে ভাবে অবতরণের কারণে বিক্রম ল্যান্ডারের পেলোডস ভেঙে গেলেও চন্দ্রপৃষ্ঠে চন্দ্রযান-২’এর প্রজ্ঞান ‘রোভার’ কিন্তু অক্ষত আছে! বিক্রম ল্যান্ডারের কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে, কয়েক মিটার পথ পাড়িও দিয়ে ফেলেছে। চন্দ্রপৃষ্ঠে রোভারের সেই পরিক্রমা ট্র্যাক করেছেন চেন্নাইয়ের টেকি। নিজেই ট্যুইট করে জানিয়েছেন নয়া এই কীর্তির কথা। একাধিক ট্যুইটে বিশদও উল্লেখ করেছেন।

প্রসঙ্গত, নাসার দেওয়া কিছু ছবি বিশ্লেষণ করে শানমুগা গত ডিসেম্বরে প্রমাণ করেন, বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ ঢাকা পড়ে গিয়েছে চাঁদের মাটি আর ধুলোয়। গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা ছিল ইসরোর পাঠানো বিক্রমের। কিন্তু চারশো মিটার ব্যবধান থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর। তার পর থেকে লাগাতার প্রচেষ্টা চালাতে থাকে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। খোঁজ করতে থাকে নাসাও। কিন্তু অসাধ্যসাধন করেন শানমুগা।

আরও পড়ুন: ফের ডিজিটাল স্ট্রাইকের ভাবনা কেন্দ্রের! এবার নিষিদ্ধ হতে পারে PUBG-সহ আরও ২৭৫ অ্যাপ

সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্‍‌কারে তিনি জানান, চন্দ্রযান ২-এর প্রজ্ঞান রোভারের গতিবিধি ট্র্যাক করতে নাসার ISIS3 USGS সফটওয়্যার ব্যবহার করেন। তাঁর এই খোঁজের বিশদ বিবরণ নাসা ও ইসরোকেও জানিয়েছেন শানমুগা।

ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিবান সংবাদ সংস্থাকে জানান, তিনি তামিল টেকির ফাইন্ডিংয়ের বিশদ জেনেছেন। বিশেষজ্ঞরারও এ নিয়ে বিশ্লেষণ চালিয়ে যাচ্ছেন। সিবান আরও জানান, ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরেও তাঁরা বেশ কিছু দিন ক্রমাগত কম্যান্ড পাঠিয়ে গিয়েছেন। আশায় ছিলেন, ল্যান্ডার সেই কম্যান্ড রিসিভ করে, রোভারকে পাঠাবে।

ইসরোর চন্দ্রযান ২ মিশনের তিন মাস পর বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ দিয়েছিলেন শানমুগা। ৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে নাসার তরফে সেই ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। নাসার ছবির সাহায্য নিয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করেছিলেন চেন্নাইয়ের এই প্রযুক্তিবিদ। নাসাও চেন্নাইয়ের এই প্রযুক্তিবিদের কৃতিত্ব স্বীকার করে নিতে কুণ্ঠা করেনি।

আরও পড়ুন: আজ থেকে ২৫ বছর আগে ভারতে শুরু হয় মোবাইল ফোনের ব্যবহার, প্রথম ফোনটি করেছিলেন জ্যোতি বসু

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest