ভোপাল: আজই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান। সোমবার বিকেল ৬টায় দলীয় বৈঠকে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এই নিয়ে চতুর্থ বার মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন শিবরাজ সিং চৌহান। একধাক্কায় ২২ জন বিধায়ক পদত্যাগ করায় নড়বড়ে হয়ে পড়ে কমল নাথের নেতৃত্বে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিধান সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা সম্ভব নয় বুঝে আগেই দিন কয়েক আগেই পদত্যাগ করেন কংগ্রেসের কমল নাথ।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত ব্যক্তির সৎকার হবে সরকারি তত্ত্বাবধানে, পরিবারকে দেওয়া হবে না দেহ
তবে এবার প্রথমেই মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লড়াইেয়ে শিবরাজের নাম উঠে আসেনি। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে গোপাল ভার্গবের। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নাম শোনা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার ও তাভেরচাঁদ গেহলটের। আবার মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য আলোচনায় ছিলেন বিধান সভায় দলের চিফ হুইপ নরত্তোম মিশ্র এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও।
তবে অতীতে শিবরাজের শাসনকালেই মধ্য প্রদেশে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে, গতি এসেছে উৎপাদনেও। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করার জন্যও ‘মামাজি’র জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এ ছাড়া সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর জন্য নির্দিষ্ট উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করার ব্যাপারেও তাঁর সুনাম রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্টেজ টুতেই করোনা আটকাতে কড়া পদক্ষেপ, মহারাষ্ট্র ও পঞ্জাবে জারি কার্ফু
এই সবের জোরে মধ্য প্রদেশের উচ্চশ্রেণির কাছে শিবরাজের ভাবমূর্তি খুবই উজ্জ্বল। পাশাপাশি, নিজে সংরক্ষিত তালিকাভুক্ত হওয়ার ফলে তফশিলী জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জাতির কাছেও তিনি সমান গ্রহণযোগ্য। দলিত ও জনজাতিদের উন্নয়নেও তিনি উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন। আর এ সবের জোরেই ২০০৮ এবং ২০১৩ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। সেই কারণে এবার ফের ফিরিয়ে আনা হল তাঁকে।
আরও পড়ুন: শুধুমাত্র করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে, বাকি রোগীদের অন্যত্র সরানোর নির্দেশ