The News Nest: যে কোনও পদের স্বাদ বাড়াতে কালো জিরার যে কোনও বিকল্প নেই, সে কথা তো কম-বেশি সবারই জানা আছে। কিন্তু এই কালো জিরে থেকে তৈরি তেল যে রূপচর্চাতেও কাজে আসে সে বিষয়ে কেউ খোঁজই রাখেন না। শুনলে অবাক হবেন, ত্বকের দেখভালে তো বটেই, চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতেও এই প্রাকৃতিক উপাদানটির জুড়ি মেলা ভার।
ত্বকের সংক্রমণ এবং ব্রণর প্রকোপ কমায়:
কালো জিরের তেলে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করা মাত্র রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলিকে মেরে ফেলে। ফলে ব্রণর প্রকোপ তো কমেই, সেই সঙ্গে ত্বকের সংক্রমণের মতো সমস্যার খপ্পরে পড়ার আশঙ্কাও আর থাকে না। এত উপকার পেতে কীভাবে এই তেল মুখে লাগাতে হবে? অল্প পরিমাণে তেলের সঙ্গে পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে মিনিট খানেক মালিশ করুন। নিয়মিত এই ভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলে দেখবেন ব্রণর পিছু ছাড়াতে সময়ই লাগবে না। তবে ভুলেও এই তেল সরাসরি মুখে লাগালে চলবে না। তাতে ত্বকের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বর্ষাকালে নরম আর মসৃণ চুলের জন্য বাড়িতেই করে নিন ডিপ কন্ডিশনিং, জানুন পদ্ধতি
ত্বকের বয়স কমবে:
নিয়মিত এই তেল মুখে লাগিয়ে মালিশ করলে ত্বকের ভিতরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়াতে শুরু করবে। তাতে কী উপকার মিলবে? এতে ত্বকের ভিতরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানগুলি মারা যাবে। সেই সঙ্গে বলিরেখাও মিলিয়ে যেতে শুরু করবে, যে কারণে ত্বকের (Skin) সৌন্দর্য বাড়তে সময়ই লাগবে না। আর যদি নিয়ম করে তেল খেতে পারেন, তাহলে তো কোনও কথাই নেই! এক কাপ গরম জলে এক চামচ তেল মিশিয়ে খাওয়া শুরু করলে রক্তে মিশে থাকা দূষিত উপাদানগুলি শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ফলে ছোট-বড় নানা রোগ-ব্যাধির প্রকোপ তো কমেই, সেই সঙ্গে ত্বকের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে।
চুল পড়ার হার কমায়:
অল্প বয়সেই ময়দান খালি হয়ে যাওয়ার ভয়ে কি রাতের ঘুম উড়েছে? তাহলে তো কালো জিরের তেলের উপর ভরসা না রেখে কোনও উপায় নেই। তাতে কি সত্যিই উপকার মিলবে? আলবাত! কেন জানেন? এতে উপস্থিত Nigellone এবং Thymoquinone নামে উপাদান চুলের গোড়ায় প্রদাহের মাত্রা কমায়, সঙ্গে hair follicle-এর শক্তি বাড়াতেও নানা ভাবে সাহায্য করে। ফলে চুল পড়ার হার কমতে সময় লাগে না। শুধু কী তাই, নিয়মিত এই তেল স্ক্যাল্পে লাগিয়ে মিনিট পাঁচেক মালিশ করলে নতুন চুল (Hair) গজানোর সম্ভাবনাও বাড়ে।
খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে:
এই তেলে এমন কিছু উপকারী উপাদান রয়েছে, যা অল্প দিনেই স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। আর স্ক্যাল্প যখন সুস্থ হয়ে ওঠে, তখন খুশকির সমস্যা কমতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, নিয়মিত এই তেল চুলে লাগিয়ে মাসাজ করলে নাকি অকালে চুল সাদা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে।
আরও পড়ুন: নির্জীব ও শুষ্ক ত্বকের আদর্শ দাওয়াই, জেনে নিন আম দিয়ে তৈরি কয়েকটি ফেস প্যাকের কথা