নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক: যারা মেকআপ করতে ভালোবাসেন, তারা মেকআপ টিউটোরিয়াল এবং ব্লগে একটা কমন জিনিস দেখতে পান। তা হলো মেকআপ রিমুভ বা ক্লিনিং। তাই, স্কিন ভালো রাখতে মেকআপ করার পরে দিনশেষে এসে মেকআপ রিমুভেও আপনি মন দেন।
কিন্তু, মেকআপটা করতে যে সকল ব্রাশ বা স্পঞ্জ ব্যবহার করেছেন। সেগুলোওতো বার বার আপনার স্কিনের সংস্পর্শে আসে, তাই না? তবে সেগুলোর বেলায়ও যে ক্লিনিং জরুরী এটা বোঝেন? অনেকেই আছেন, যারা মেকআপ ব্রাশ ক্লিন করা নিয়ে গাফেলতি করেন। পরে তারা যখন স্কিন প্রবলেম এ ভোগেন তখন বলেন, আমিতো মেকআপ রিমুভ ঠিকমতোই করি। তাও কেন এমন হলো?
রেগ্যুলার বেসিসে মেকআপ ব্রাশ ক্লিন না করলে তাতে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। পরবর্তীতে তার থেকে স্কিনে সমস্যা দেখা দেয়। কী কী সমস্যা জানতে চান? চলুন জেনে নেই, মেকআপ ব্রাশ ক্লিন না করলে যে ৬ টি সমস্যা হতে পারে!
মেকআপ ব্রাশ ক্লিন না করলে কোন ৬টি সমস্যা হতে পারে
১. ব্রণ:
মেকআপ ব্রাশ ক্লিন না করতে করতে, ব্রাশের ব্রিসেলসগুলোতে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। যতই আপনি রাতে মেকআপ রিমুভ করেন আর ফেইস ক্লিন রাখেন। পরদিনতো সেই নোংরা ব্রাশ বা স্পঞ্জই স্কিনের সংস্পর্শে আনবেন। আর ব্রাশে থাকা ব্যাকটেরিয়া আপনার স্কিন চলে গিয়ে ব্রণ তৈরি করবে।
২. স্কিন ইরিটেশন
মাস খানেক হল মেকআপ ব্রাশ ক্লিনই করছেন না। এর ফলে কি হচ্ছে জানেন? মেকআপ ব্রাশের ব্রিসেলসগুলো নোংরা এবং তৈলাক্ত হয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে সেটা দিয়ে যখন মেকআপ অ্যাপ্লাই করেন, আর তা স্কিন ইরিটেশন এবং রেডনেস এর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৩. নিষ্প্রাণ ত্বক
যখন আমরা মেকআপ করি, আমাদের স্কিনের থেকে সেরাম মেকআপ ব্রাশে ট্রান্সফার হয়। সেটা ব্রাশেই থেকে যায়। পরে যখন সেই ব্রাশ দিয়েই মেকআপ অ্যাপ্লাই করা হয়, তখন স্কিনে থাকা সেরাম এবং ব্রাশের সেরাম মিলে যায়। যার ফলে, স্কিনের ন্যাচারাল গ্লো হারিয়ে যায় এবং স্কিন দেখতে নিষ্প্রাণ লাগে।
৪. ভাইরাস
মেকআপ ব্রাশ না ক্লিন করলে সেই নোংরা ব্রাশ ই আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। ব্রাশ ক্লিন না রাখলে স্কিনে ব্যাকটেরিয়াতো প্রবেশ করবেই, ভাইরাস ও ছড়াতে পারে। এর জন্য অন্যের সাথে মেকআপ ব্রাশ শেয়ার করার দরকার পড়বে না। আপনি কি জানেন? বিভিন্ন ফ্লু, কোল্ড ভাইরাস নোংরা মেকআপ ব্রাশ থেকেই ছড়াতে পারে। তাই বুঝতেই পারছেন, আপনার সুস্থ থাকার জন্যে হলেও মেকআপ ব্রাশ ক্লিনিং কতটা ইম্পরট্যান্ট।
৫. ব্যাড অ্যাপ্লিকেশন
শুধুমাত্র স্কিনে সমস্যা ই নয়, মেকআপ ব্রাশ ঠিকমতো ক্লিন না করার ফলে এর ব্রিসেলসগুলোতে পুরোনো মেকআপ প্রোডাক্ট জমে থাকে। যার ফলে আপনি যখন নতুন করে মেকআপ এপ্লাই করতে যান, তখন অ্যাপ্লিকেশনটা স্মুদ এবং ফ্ললেস হয় না। তাই, সুন্দর এবং ফ্ললেস ফিনিশ পেতে মেকআপ ব্রাশ ক্লিন করা কিন্তু মাস্ট।
৬. ব্রাশ ড্যামেজ
একবার ভাবুন, কতগুলো টাকা খরচ করে এক একটা মেকআপ ব্রাশ কিনেছেন। এখন, খুব দ্রুতই যদি ব্রাশগুলো নষ্ট হয়ে যায় তবে টাকাগুলোইতো জলে গেলো। তাই না? হ্যা, মেকআপ ব্রাশ রেগুলার ক্লিন না করলে ব্রাশে অয়েল, ডার্ট, ব্যাকটেরিয়া জমে ব্রাশের ব্রিসেলস গুলো আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যায়। শুধুমাত্র প্রোপার ক্লিনিংই পারে ব্রাশের ব্রিসেলস গুলো শাইনি এবং পারফেক্ট রাখতে। তাই ব্রাশগুলো ভালো রাখতে চাইলে ক্লিনিংটা খুবই জরুরী।
ব্যাকটেরিয়া ময়েশ্চার পছন্দ করে। তাই, প্রতিবার লিকুইড প্রোডাক্টস ব্যবহারের পর ব্রাশ এবং স্পঞ্জ ক্লিন করবেন। আর পাউডার প্রোডাক্টস ব্যবহারের পর ব্রাশগুলো সপ্তাহে ১/২ দিন ক্লিন করলেই চলবে। ব্রাশ ক্লিন করার জন্য ব্রাশ ক্লিনার ব্যবহার করুন। ব্রাশ ক্লিনার না থাকলে অলিভ অয়েল এবং শ্যাম্পু/হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে ক্লিন করে নিতে পারেন।
এইতো জেনে নিলেন, মেকআপ ব্রাশ ক্লিন না করলে যে ৬ টি সমস্যা হতে পারে। তাই মেকআপ করার পরে মেকআপ যেমন রিমুভ করেন, ঠিক তেমনি মেকআপ ব্রাশগুলোও ক্লিন করবেন। স্কিন এবং ব্রাশ দুটোকেই ভালো রাখতে এটাকে আপনার রুটিনে যোগ করে নিন।