শুরু হচ্ছে ‘টেস্ট বিশ্বকাপ’, জেনে নিন, কতদিন ধরে চলবে খেলা, পয়েন্ট বিভাজন হবে কীভাবে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক: একদিনের বিশ্বকাপ প্রথম বার জিতেছে ইংল্যান্ড। সেই ইংল্যান্ডেই আগামী ১ অগস্ট থেকে শুরু হতে চলেছে টেস্ট বিশ্বকাপ। জানেন কি প্রথম বার হতে চলা এই টেস্ট বিশ্বকাপ কেন হবে? কত দিন ধরে চলবে ক্রিকেটের সব থেকে দীর্ঘ ফরম্যাটের এই বিশ্বকাপ? জেনে নেওয়া যাক তার খুঁটিনাটি।

টি-টোয়েন্টি আসার পর টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা কমেছে বেশ। তাই এ ফরম্যাটে আবার দর্শকদের আকৃষ্ট করতে আইসিসি নিয়েছে নতুন উদ্যোগ- টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটির মাথায় এ ভাবনা অবশ্য এসেছিল ২০০৯ সালেই। সব টেস্ট খেলুড়ে দেশকে নিয়ে এক অভিনব বিশ্বকাপের পরিকল্পনা প্রকাশ করে সংস্থা। নাম ঠিক করা হয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। যা পরে লোক মুখে হয়ে যায় টেস্ট বিশ্বকাপ।

১ অগাস্ট থেকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ঢাকে কাঠি। অস্ট্রেলিয়া- ইংল্যান্ড অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট। দুবছর ধরে(২০১৯-২০২১ পর্যন্ত) ৯ দলের এই টেস্ট লিগের আসর চলবে। দু’বছরের মধ্যে প্রতিটি দল হোম অ্যাওয়ে ভিত্তিতে মোট ছটি টেস্ট সিরিজ খেলবে। ২১ মাসের এই দীর্ঘ বিশ্বকাপে প্রতিটা দেশ খেলবে ৬টি করে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। এক একটি সিরিজের পয়েন্ট হবে ১২০। যার ফলে প্রতিটা দেশের মোট পয়েন্ট হবে ৭২০। তাই কোন দেশের বেশি বা কম ম্যাচ খেলা দিয়ে বিচার্য হবে না পয়েন্টের হিসাব।

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হলে, প্রতিটি টেস্ট ম্যাচ জয়ের জন্য বিজয়ী দল ৬০ পয়েন্ট পাবে। ম্যাচটি কোনও কারণে টাই হলে দুই দল ৩০ পয়েন্ট করে পাবে। আর ড্র হলে দুই দল ২০ পয়েন্ট করে পাবে। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হল প্রতিটি টেস্ট ম্যাচ জয়ের জন্য বিজয়ী দল ৪০ পয়েন্ট পাবে। ম্যাচ টাই হলে, দুই দল২০ পয়েন্ট করে পাবে। ম্যাচ ড্র হলে দুই দল ১৩ পয়েন্ট করে পাবে। ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হলে প্রতিটি টেস্ট ম্যাচ জয়ের জন্য বিজয়ী দল ৩০ পয়েন্ট পাবে। ম্যাচ টাই হলে দুই দল ১৫ পয়েন্ট করে পাবে। ম্যাচ ড্র হলে দুই দল ১০ পয়েন্ট করে পাবে। ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হলে প্রতিটি টেস্ট ম্যাচ জয়ের জন্য বিজয়ী দল ২৪ পয়েন্ট পাবে। ম্যাচ টাই হলে দুই দল ১২ পয়েন্ট করে ভাগাভাগি করে নেবে। ম্যাচ ড্র হলে দুই দল ৮ পয়েন্ট করে পকেটে পুরবে। অর্থাৎ ম্যাচ ড্র করার চেয়ে দলগুলি ম্যাচ জেতার জন্য ঝাঁপাবে। সেক্ষেত্রে টেস্ট ক্রিকেটের আকর্ষণ অনেক বাড়বে।

তাহলে কী ভাবে নির্ধারিত হবে এই বিশ্বকাপ বিজয়ী দল? ২০২১-এর ৩০ এপ্রিলের পর পয়েন্টের হিসেবে যে দুটি দল উপরে থাকবে তাদের মধ্যে জুন মাসে হবে ফাইনাল। সেই ফাইনাল খেলাটিও হবে ইংল্যান্ডে। এর মাধ্যমেই প্রথম টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাবে ক্রিকেট বিশ্ব।

আইসিসির ঐ পরিকল্পনা ২০১০ সালে পাশ হয়। ২০১৩ সালে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল টেস্ট চ্যাম্পিয়নসশিপ। কিন্তু আর্থিক কারণে পিছিয়ে আসে আইসিসি। তারা ইংল্যান্ডে হতে চলা এ টেস্ট বিশ্বকাপের পরিবর্তে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের সুযোগ দেয় ইংল্যান্ডকে। যা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয় ক্রিকেট মহলে। ২০১৩ সাল থেকে পিছিয়ে ঠিক হয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হবে ২০১৭ সালে। কিন্তু সেবারও তা সম্ভব হয়নিঅ। বার বার পরিবর্তিত হতে থাকে এই চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়ম। শেষ পর্যন্ত এবার আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে টেস্টের বিশ্বকাপে নামে অভিহিত হওয়া এ টুর্নামেন্টটি। দ্বিপাক্ষিক সিরিজকে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামুলক করে তোলবার জন্য এই টেস্ট বিশ্বকাপ হতে চলেছে এক অনন্য নিয়মে। ২০১৯-এর ১ আগস্ট থেকে ২০২১-এর ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত হওয়া সমস্ত দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়ে উঠবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অঙ্গ। টেস্ট রাঙ্কিংয়ের প্রথম ৯টি দেশকে নিয়ে চলবে এই বিশ্বকাপ।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest