Site icon The News Nest

KKR vs SRH: গিলের অপরাজিত ৭০, হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্রথম জয় কলকাতার

gill

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ:‌ ১৪২/৪ – ২০ ওভার(‌পাণ্ডে ৫১, কামিন্স ১/‌১৯)‌
কলকাতা নাইট রাইডার্স:‌ ১৪৫/৩ – ১৮ ওভার (‌গিল ৭০*‌, রশিদ ১/‌২৫)‌
সাত উইকেটে জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স।

আইপিএলের শুরুটা একদমই ভাল হয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। প্রথম ম্যাচে রোহিত-রোশনাইয়ে ম্যাচ হারতে হয় দীনেশ কার্তিকের দলকে। দল হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে ব্যর্থ হয় কলকাতা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়াল কলকাতা। শনিবার ১২ বল বাকি থাকতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে সাত উইকেটে হারাল শাহরুখ খানের দল।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner)। কিন্তু আগের দিনের তুলনায় সত্যিই এদিন ফর্মে ফিরলেন কামিন্স। শুরুতেই তুলে নেন বেয়ারস্টোর (৫‌)‌ উইকেট। অন্যদিকে, শিবম মাভি এবং কমলেশ নাগরকোটিও কামিন্সকে যোগ্য সঙ্গত দেন। ফলে প্রথম দশ ওভারে দুই উইকেটে মাত্র ৬১ রান তোলে হায়দরাবাদ। তবে প্রাক্তন নাইট মনীশ পাণ্ডে (Manish Pandey) দলের ত্রাতা হয়ে দেখা দেন। মূলত তাঁর ৩৮ বলে ৫১ এবং বাংলার ছেলে ঋদ্ধিমানের ৩০ রানের সৌজন্যে কোনওক্রমে ১৪০ রানের গণ্ডি টপকায় হায়দরাবাদ। নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে তোলে ১৪২ রান।

আরও পড়ুন: KXIP vs RCB: জঘন্য ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিল আরসিবি, কোহলিদের বিরুদ্ধে জয় পাঞ্জাবের

KKR বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল কামিন্স। চার ওভারে মাত্র ১৯ রান দেন। পান একটি উইকেট। ভাল বোলিং করেছেন রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীও। ওয়ার্নারকে (‌৩১) যে বলে আউট করলেন, সেটি বুঝতেই পারেননি অজি ক্রিকেটার। রীতিমতো হকচকিয়ে যান।

তবে এদিনের লড়াই ছিল মূলত হায়দরাবাদের বোলিং বনাম কেকেআরের ব্যাটিংয়ের। একে প্রথম ম্যাচে খারাপ পারফরম্যান্স, ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে সমালোচনা, তার উপর এদিন এক ব্যাটসম্যান কম নিয়েই কার্যত মাঠে নেমেছিলেন নাইটরা। শুরুতে নারিনের ফের ব্যর্থ হওয়া রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে তা সামলে দেন নীতীশ রানা এবং শুভমান গিল। এদিনও ভাল শুরু করেছিলেন রানা। কিন্তু ১৩ বলে ২৬ রান করে আউট হয়ে যান। এরপর শূন্যরানে ফিরে যান অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকও। তবে এরপর দলের রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার তুলে নেন মর্গ্যান এবং গিল। এর মধ্যে নিজের অর্ধশতরানও পূর্ণ করেন গিল। শেষপর্যন্ত এই জুটিই দলকে জয় এনে দেয়। তাও আবার ১২ বল বাকি থাকতেই। গিল করলেন অপরাজিত ৭০ রান। মারেন পাঁচটি চার ও দু’‌টি ছয়।

অন্যদিকে, ২৯ বলে ৪২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মর্গ্যানও। এদিকে, সাত উইকেটে জয়ের কারণে নেট রানরেটেও কিছুটা উন্নতি হল নাইটদের।

আরও পড়ুন: ‘মিঃ গাভাসকর, আপনার মন্তব্য রুচিহীন’, গর্জে উঠলেন অনুষ্কা, চাপে পরে সাফাই সুনীলের

Exit mobile version