লাস্ট বয়ের কাছে হেরে প্লে-অফের লড়াই কঠিন করে বসল কলকাতা নাইট রাইডার্স। চেন্নাই সুপার কিংস শেষ ওভারের থ্রিলারে ৬ উইকেটে পরাজিত করে কেকেআরকে। বরং বলা ভালো যে, কলকাতার মুখের গ্রাস কাড়লেন রবীন্দ্র জাদেজা।
দুবাইয়ে প্রথমে ব্যাট করে কেকেআর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৭২ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিবনিময়ে ১৭৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।
জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে ৩০ রান প্রয়োজন ছিল চেন্নাইয়ের। ১৯তম ওভারে লোকি ফার্গুসন বল করতে এসে ২০ রান খরচ করেন। সুতরাং জিততে হলে শেষ ওভারে ১০ রান তুলতে হতো সুপার কিংসকে। নাগারকোটির প্রথম চার বলে মাত্র ৩ রান ওঠে। পঞ্চম বলে ছক্ক মেরে জাদেজা স্কোল লেভেল করেন। শেষ বলে ১ রান নিলেই জয় নিষ্চিত ছিল। জাদেজা পুরনায় বল গ্যালারিতে ফেলে নাইটদের কাছ থেকে প্রায় জেতা ম্যাচ কার্যত ছিনিয়ে নেন।
আরও পড়ুন: নির্বাসন শেষ, মাঠে ফেরার অপেক্ষায় শাকিব, তর সইছে না মুশফিকের
নীতিশ রানা ওপেনার সমস্যা দূর করেছেন এই নাইট শিবিরে। এ দিন শুরুর দিকে চেনা ছন্দে ধরা না দিলেও, ম্যাচ যত গড়াতে থাকে রানা ততই খোলস ছেড়ে বেরোন। ৮৭ রানে এনগিডির বলে আউট হন রানা। তাঁর ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও চারটি ছয়। তিন নম্বরে নেমে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন সুনীল নারাইন। বেশিক্ষণ তিনি টিকতে পারেননি। স্যান্টনারকে মারতে গিয়ে রবীন্দ্র জাডেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ক্যারিবিয়ান তারকা (৭)।
#CSK have won the toss and they will bowl first against #KKR#Dream11IPL pic.twitter.com/w1EwSpFG7l
— IndianPremierLeague (@IPL) October 29, 2020
রিঙ্কু সিং এ দিন প্রথম একাদশে জায়গা পান। তাঁকে চারে পাঠান মর্গ্যান।জাডেজার বলে রিঙ্কু ফেরেন মাত্র ১১ রানে। পাঁচে নেমে মর্গ্যান করেন মাত্র ১৫ রান। কার্তিক ২১ রানে অপরাজিত থেকে যান। কলকাতা শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে করে ১৭২ রান। আরও রান যোগ করতেই পারত কলকাতা। কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারে এত পরিবর্তন আনায় তা আর হয়নি। ফার্গুসন-নাগারকোটিদের হতশ্রী বোলিংয়ে নিজেদের অবস্থা আরও কঠিন করে ফেলল নাইটরা।
আরও পড়ুন: মেসির চাপে নতিস্বীকার! নাটকীয়ভাবে পুরো বোর্ড-সহ পদত্যাগ বার্সা প্রেসিডেন্টের