রামচন্দ্র গুহের তোপের মুখে এ বার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। সমালোচিত বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বোর্ড তথা বোর্ড প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে প্রবীণ ইতিহাসবিদ বলেছেন যে ধারাভাষ্যকারের দল থেকে সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুচিত।
রামচন্দ্র গুহ শুধু ইতিহাসবিদই নন। তিনি কিছু দিন আগেও ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসকদের কমিটি বা কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস-এ ছিলেন। বোর্ড প্রেসিডেন্টকে নিশানা করে তিনি বলেছেন, “স্বার্থের সংঘাত খুবই খারাপ একটা ব্যাপার। তবে সৌরভ এখন যা করছে, তা ঠিক নয়। অন্য কোনও দেশ এমনটা করার অনুমতি দেবে না। ধারাভাষ্যকারদের কন্ঠরোধ করা খারাপ কাজ।”
তাঁর কথায়, “ফের ধারাভাষ্যকারদের দলে নেওয়ার জন্য সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে আবেদন করতে হয়েছিল। যা খুব করুণ ঘটনা। কেন ধারাভাষ্যের উপর বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ থাকবে? এটা একেবারেই অযৌক্তিক। বিশ্বের অন্য কোথাও এটা হয় না। ভাবতে পারেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এমন হচ্ছে?”
আরও পড়ুন: মন্দিরে আরতির সময় চুম্বন, লাভ জেহাদ প্রচারের অভিযোগে #BoycottNetflix-এর ডাক
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজের ঠিক আগে ধারাভাষ্যকারদের প্যানেল থেকে বিসিসিআই সরিয়ে দিয়েছিল মঞ্জরেকরকে। যদিও সেই সিরিজ শেষ পর্যন্ত করোনা অতিমারির কারণে হয়নি। পরে আইপিএলে ধারাভাষ্যকারদের দলে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বোর্ডের কাছে আবেদন করেন মঞ্জরেকর। কিন্তু, সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি।
ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ মুক্ত চিন্তার লোক। তিনি ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষ গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল। সেই একই কারণে তিনি গেরুয়া শিবিরের প্রতি অত্যন্ত বিরক্ত। গেরুয়া দলের নেতারা অনেকেই একই সঙ্গে উন্নয়ন এবং বিদ্বেষ ফেরি করেন। যেটা তাঁর পছন্দ নয়। তিনি প্রকাশ্যে তার সমলোচনাও করেছেন।
যে কথা অস্বীকারের উপায় নেই তা হল গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে আজকাল সৌরভ গাঙ্গুলির সম্পর্ক ভালো। কেউ কেউ বলে আসলে বিজেপি সৌরভের মত একটা মুখ তুলে আনার চেষ্টা করছে। একদিকে উচ্চবর্ণ, অন্যদিকে দেশ জোড়া পরিচিতি। অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক আজকাল আর ঢাকা নেই। একথা অবশ্য আলাদা যে বাম শাসনকালে তাঁকে সিপিএম মনে করত। তবে পরিপ্রেক্ষিতটা এখন বদলেছে। বিজেপির এখন সৌরভকে প্রয়োজন। কতদিন নাগাদ সৌরভের জল মাপা শেষ হবে সেটা তিনিই বলতে পারবেন।
আরও পড়ুন: লিঙ্গের সাইজ নিয়ে ভুল ভাল ধারণা ছাড়ুন, যৌন সম্পর্ক একটা টোটাল প্যাকেজ!