বিপাকে বাংলাদেশের (Bangladesh) ক্রিকেটার নাসির হোসেন। বিয়ে সংক্রান্ত মামলায় আগামী ৩১ অক্টোবর আদালতে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। অবৈধভাবে বিয়ে করার অভিযোগে গ্রেপ্তারও হতে পারেন।
ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানার মধ্যে বিয়ে বৈধভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন – পিবিআই ।চলতি বছরের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি রেস্তোঁরায় তামিমা সুলতানা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
তামিমা সুলতানার প্রথম স্বামী রাকিব হাসানকে দেওয়া তালাকের কাগজপত্র ‘জালিয়াতির মাধ্যমে’ তৈরি করা হয়েছে এবং যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক দেওয়া হয়নি বলে পিবিআই তদন্তে দেখতে পেয়েছে।আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেছেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।
ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখে তামিমা সুলতানার প্রথম স্বামী রাকিব হাসান নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত তখন হাসানের জবানবন্দী গ্রহণ করে বিষয়টি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়।মামলা দায়ের হবার পর নাসির হোসেন এবং তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা সাংবাদিক সম্মেলনে রাকিব হাসানের অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ দাবি করেছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাসির হোসেন বলেছিলেন, নিয়ম অনুযায়ী তামিমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে এবং তামিমার বিয়ে ও সন্তান সম্পর্কে সব কিছু জেনেই তিনি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। “আমরা যা করেছি ‘লিগ্যাল ওয়ে’তে, বেআইনি কিছু করিনি। আমরা যথেষ্ট পরিণত, সুতরাং বুঝে শুনে আইনগতভাবে কাজ করেছি,” বলেছিলেন হোসেন।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান মজুমদার বলেছেন, তদন্তে দেখা গেছে আইনগত বিধিব্যবস্থা অনুযায়ী তামিমা সুলতানার ডিভোর্স হবার আগেই নাসির হোসেন তাকে বিয়ে করেছেন।তামিমা সুলতানা ও নাসির হোসেন তালাকের যে সময় এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছেন, তদন্তে সেসব তথ্যে ‘গড়মিল’ দেখা গেছে বলে তিনি বলেছেন।