রবিবার চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (WT20) নিউজিল্যান্ডের (New Zealnad) বিরুদ্ধে নামার আগে মহম্মদ শামি (Mohammed Shami) ইস্যুতে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্ফোরণ ঘটালেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খারাপ বোলিং করার পর থেকেই শামির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশ নেতিবাচক মন্তব্য করতে শুরু করে। ‘গদ্দার’ বলে কটাক্ষ করার পাশাপাশি একশ্রেণীর নেটিজেনরা তাঁর ধর্ম নিয়েও অপমানজনক মন্তব্য করেছিল। সেই বিষয়ে ভারত (Team India) অধিনায়ককে প্রশ্ন করা হলে গর্জে সেই সব নেটিজেনদের ‘একগুচ্ছ মেরুদণ্ডহীন লোক’ বলে দিলেন কোহলি।
বিরাট বলেন, ‘কেন আমরাই মাঠে নেমে খেলছি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার একগুচ্ছ মেরুদণ্ডহীন লোক (সেটা পারছেন না), তার একটি যথার্থ কারণ আছে। যাঁদের কোনও ব্যক্তির মুখোমুখি হয়ে কথা বলার সাহস নেই। নিজেদের চেনা জায়গায় লুকিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকের দিকে ধেয়ে আসেন। এটা আজকের দুনিয়ার বিনোদনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এনং দুঃখজনক। কোনও মানুষের মানসিকতা এটার থেকে আর নীচে নামতে পারে না। এভাবেই আমি এই লোকগুলোকে দেখি।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার হয়ে খেলেন শামি। দীর্ঘদিন ধরে দেশের হয়ে খেলছেন। একের পর এক ম্যাচ একার হাতে জিতিয়েছেন। দেশের হয়ে এই মুহূর্তে অন্যতম সেরা বোলারও তিনি। কিন্তু একটি ম্যাচ হারতেই যে ভাষায় সমালোচকরা তাঁকে আক্রমণ করতে শুরু করেন, তা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না ভারত অধিনায়ক।
Here, spoken like Virat @imVkohli …spoken for all of us fans to… pic.twitter.com/BGcrnO9nvw
— Shekhar Gupta (@ShekharGupta) October 30, 2021
সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়ে কোহলি বলেছেন, “এক দল মেরুদণ্ডহীন মানুষ কী বলল তাতে আমাদের যায় আসে না। ওদের কোনও দিন সামনে এসে কিছু বলার ক্ষমতা নেই। মানবিকতার সব থেকে নিচু স্তর দেখতে পেলাম। মানুষ সব থেকে খারাপ কাজ যদি কিছু করতে পারে, তা হলে সেটা হল ধর্ম নিয়ে কাউকে আক্রমণ করা।” কোহলির সংযোজন, “ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে আলাদা করে দেখার কথা কোনও দিন ভাবিনি। ধর্ম একটা পবিত্র বিষয়। আমাদের ভ্রাতৃত্ব এবং বন্ধুত্ব কখনও নষ্ট হতে দেওয়া উচিত নয়। কখনও এ জিনিস বরদাস্ত করা হবে না। যাঁরা আমাদের বুঝতে পারেন, সে ধরনের মানুষকে কুর্নিশ।”
কোহলি জানিয়েছেন, নেটমাধ্যমের কোনও বিষয় নিয়ে কোনওদিনই তাঁরা চর্চা করেন না। এখন এ ধরনের ঘটনা হওয়ার পর আরওই তাঁরা বিষয়টিকে পাত্তা দিতে রাজি নন। তাঁর কথায়, “দল হিসেবে আমাদের কী করা উচিত এবং কোন কোন জায়গায় জোর দেওয়া উচিত সেটা ভালই জানি। কেউ যদি ভাবে ভারত একটা ম্যাচেও হারতে পারে না, তাহলে সেটা তার ব্যাপার। বাইরের মানুষ কী ভাবছে তা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা আমাদের নেই। আগেও বলেছি, মানুষ জানে না মাঠে নেমে আসলে ঠিক কী কাজ করতে হয়। আমরাও সেটা জোর গলায় কাউকে জানাতে রাজি নই। যদি কোনও ম্যাচে হারি, তাহলে সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচের দিকে এগিয়ে যাব।”