মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬২ (তিওয়ারি ৪২, এনগিডি ৩৮/৩)
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৩ (রায়ডু ৭১, দু’প্লেসি ৫৮*, বোল্ট ২৩/১ )
করোনা আবহে দীর্ঘদিন পর শনিবার কোনও প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে নেমেছিলেন মুম্বই ও চেন্নাই দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারই ৷ আর টুর্নামেন্টের শুরুটাই হল দুর্দান্ত ৷ ব্যাটসম্যান-বোলারদের সমানে সমানে লড়াইয়ের ম্যাচের সাক্ষী থাকলেন বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীরা টেলিভিশনের মাধ্যমে ৷ হাড্ডাহাড্ডির ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৫ উইকেটে হারাল চেন্নাই সুপার কিংস ৷
গতবারের হাইভোল্টেজ ফাইনালে ধোনির চেন্নাইকে মাত্র ১ রানে হারিয়ে চতুর্থবার ট্রফি ঘরে তুলেছিলেন রোহিত শর্মা। এবার তাই বদলা নিতে মরিয়া ধোনি টস জিতে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
Honestly, not sure if this was the first laddoo or second laddoo…but laddoo laddoo dhaan! ? #Fafulous'ly brought us back into the game! ??? #WhistleFromHome #WhistlePodu #Yellove #MIvCSK pic.twitter.com/z4SdH3Teqc
— Chennai Super Kings – Mask P?du Whistle P?du! (@ChennaiIPL) September 19, 2020
আরও পড়ুন: ছ’বলে ছয় ছক্কা! ১৩ বছর আগে আজকের দিনেই ইতিহাস গড়েন যুবরাজ
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিলেন রোহিত আর কুইন্ট ডি’কক। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৩ রানের মাথায় চাওলার বল প্যাভিলিয়নে ফেরেন হিটম্যান। এরপর দ্রুত ফিরে যান সূর্যকুমার যাদবও। এরপর মুম্বইয়ের হাল ধরেন সৌরভ তিওয়ারি এবং ডি’কক। দু’জনে মিলে তৃতীয় উইকেটে ৪৪ রান যোগ করেন। এরপরই বাউন্ডারি লাইনে দুর্দান্ত দুটি ক্যাচ ধরে সৌরভ তিওয়ারি (৪২) ও হার্দিক পাণ্ডিয়াকে (১৪) প্যাভিলিয়নে ফেরান ডুপ্লেসি। বড় রান পাননি কায়রন পোলার্ডও। ১৮ রান করেই আউট হন ক্যারিবিয়ান তারকা। অন্যদিকে, ডি’ককের সংগ্রহ ৩৩ রান। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬২ রানে থামে মুম্বইয়ের ইনিংস। চেন্নাইয়ের হয়ে এনগিডি তিনটি এবং চাহার ও জাদেজা দুটি করে উইকেট নেন।
আমিরশাহীর এই বোলিং সহায়ক উইকেটে ১৬৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খেতে হয় চেন্নাই শিবিরকে। ওয়াটসনকে (৪) ফেরান প্যাটিনসন। অন্যদিকে, বিজয়কে (১) ফেরান বোল্ট (Trent Boult)। কিন্তু এরপরই দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফিরে আসে চেন্নাই। সৌজন্যে ভারতীয় দলে ব্রাত্য রায়াডু এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্যাফ ডু’প্লেসি। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই দুরন্ত অর্ধশতরান করে রায়ডু বুঝিয়ে দিলেন কেন তিনি এখনও ভারতীয় দলে শামিল হতে পারেন। শেষপর্যন্ত ব্যক্তিগত ৭১ রানের মাথায় রায়াডুকে আউট করেন দীপক চাহার। এরপর কিছুটা চাপে পড়ে যায় চেন্নাই শিবির। কারণ সদ্য ক্রিজে আসা রবীন্দ্র জাদেজা ১০ রান করেই আউট হন। তবে শেষদিকে স্যাম কারেনের পাঁচ বলে ঝোড়ো ১৮ এবং ডু’প্লেসির বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং চেন্নাইকে জয় এনে দেয়। তিনি অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। শেষদিকে ব্যাটিং করতে নামলেও কোনও রান না করে অপরাজিত থাকেন ধোনি। তাও চার বল বাকি থাকতে।
100 wins as @ChennaiIPL Captain for @msdhoni ?#Dream11IPL #MIvCSK pic.twitter.com/jZ91EcCJyF
— IndianPremierLeague (@IPL) September 19, 2020
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ৩৪ দিন পর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে নামা ‘ক্যাপ্টেন কুল’ এদিনের ম্যাচে নিলেন দুটো ক্যাচ। আইপিএলে তাঁর ক্যাচের সংখ্যা স্পর্শ করল ১০০। ৯৬টি ক্যাচ ধরেন উইকেটকিপার হিসেবে। বাকি চারটি ক্যাচ ধরেছেন উইকেটকিপারের দস্তানা ছাড়া ফিল্ডার হিসেবে। এছাড়া, মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে আইপিএলে এটি চেন্নাই সুপার কিংসের ১০০তম জয়। অর্থাৎ, চেন্নাই অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচ জয়ের সেঞ্চুরি করলেন এমএসডি। কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ১০০ ম্যাচ জেতার নজির আর কোনও আইপিএল অধিনায়কের নেই।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলিয়ান বম্বশেল! উষ্ণতার আবেদনে বিশ্বকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন নেইমারের বোন