জল্পনা-কল্পনার অবসান। সরকারিভাবে আইএসএলে যুক্ত হল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। রবিবার খোদ এফএসডিএলের (FSDL) চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি দেশের এক নম্বর লিগে সবুজ-মেরুনের অন্তর্ভুক্তির কথা ঘোষণা করেছেন। ইস্টবেঙ্গল যোগ দেওয়ার ফলে ১০ দলের আইএসএল (ISL) এবার হবে ১১ দলের।
এদিন নীতা আম্বানি লিখলেন, ”আইএসএল-এর জন্য খুবই খুশি এবং গর্বের মুহূর্ত। ইস্টবেঙ্গল এফসিকে আমরা আইএসএলে স্বাগত জানাচ্ছি। লাল-হলুদ ক্লাবের কয়েক লাখ সমর্থকের কাছে এটা অবশ্যই দারুন খুশির খবর হবে। দুই ঐতিহ্যশালী ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের আগামী দিনে ভারতীয় ফুটবলের ঐতিহ্য বহন করার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে রাজ্য থেকে নতুন প্রতিভা তুলে আনার ক্ষেত্রে এই দুটি ক্লাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাংলা বরাবরই অবদান রেখেছে। আশা করব বাংলার দুই প্রধান ক্লাব ভারতীয় ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আবারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে।”
OFFICIAL ?
Mrs. Nita Ambani, Founder & Chairperson, FSDL, confirms the expansion of #HeroISL for the 2020-21 season!
Read ?https://t.co/Lxyn16ByFf
— Indian Super League (@IndSuperLeague) September 27, 2020
ইস্টবেঙ্গলের এই সংযুক্তিকরণ যে নিঃসন্দেহে শতবর্ষে লাল-হলুদ সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আসলে একটা সময় এ সব কিছুই অসম্ভব মনে হচ্ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এটিকে মোহনবাগানের অন্যতম অংশীদার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ফেডারেশনের আন্তরিক চেষ্টায় এই প্রক্রিয়া বাস্তব রূপ পেল।
গত মরশুমের শেষেই সংঘাতের কারণে কোয়েস–ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে ছেদ পড়ে। এরপর আইএসএল খেলার জন্য ইনভেস্টরের খোঁজার চেষ্টা করলেও করোনা আবহে বারংবার ব্যর্থ হতে হয় লাল–হলুদ কর্তাদের। শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। আর তাঁরই হস্তক্ষেপে ইস্টবেঙ্গলে নতুন ইনভেস্টর আসে। বিখ্যাত সংস্থা ‘শ্রী সিমেন্ট’ যুক্ত হল ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে। ইনভেস্টর আসার পর লাল-হলুদের আইএসএলে খেলা নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। সেটাই এবার সরকারিভাবে ঘোষণা করা হল।