ইউরোর সি গ্রুপের দ্বৈরথে ইউক্রেনকে ১-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল অস্ট্রিয়া ৷ বুখারেস্টের মাঠে ইতিহাস গড়লেন তারা ৷ এই প্রথমবার ইউরোর নকআউটে গেল অস্ট্রিয়া ৷ ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ক্রিস্টোফ বমগার্টনার ৷ ২১ মিনিটে গোল পেয়ে যাওয়ার পর আর কোনও সমস্যা হয়নি অস্ট্রিয়ার ৷ ম্যাচে সমতায় ফিরতে ব্যর্থ ইউক্রেন ৷
আরও পড়ুন : বারামুলায় রাতভর নিরাপত্তারক্ষী-সেনা সংঘর্ষ, হত লস্করের শীর্ষ জঙ্গি-সহ ৩
অস্ট্রিয়ার সামনে হাতছানি ছিল ৩৯ বছর বাদে প্রথমবারের মতন নক আউট রাউন্ডে যাওয়ার। বিতর্কিত গোল সেলিব্রেশন করে এক ম্যাচ সাসপেন্ড হওয়ার পরে এই ম্যাচেই দলে ফেরেন অস্ট্রিয়ার স্ট্রাইকার আর্নাউটোভিচ। এই অবস্থায় খেলতে নেমে দু’দল আক্রমন,প্রতি আক্রমনে খেলা জমিয়ে দেয়। বাঁদিকের উইং দিয়ে ডেভিড আলাবার দৌড় সামলাতে যখন একদিকে হিমশিম অবস্থা ইউক্রেন ডিফেন্সের তখন অন্যদিকে অস্ট্রিয়ার ডিফেন্সের নাভিশ্বাস তুলছেন ইয়ার্মালেঙ্কোরা। ২১ মিনিটের মাথায় অস্ট্রিয়া ম্যাচে তাদের পঞ্চম কর্নারটি আদায় করে নেয়। কর্নার থেকে আলাবার আউটসুইংগারে জোরালো হেডে গোল করে অস্ট্রিয়াকে ১-০ তে এগিয়ে দেন বমগার্টনার। গোল খেয়ে পরিশোধের তাগিদে আরও আক্রমনাত্মক খেলা শুরু করে ইউক্রেন। ২৮ মিনিটে সাপারেঙ্কার নেওয়া শট বাঁচিয়ে দেন অস্ট্রিয়ান গোলরক্ষক ব্যাচম্যান। যিনি প্রথর্মাধে অস্ট্রিয়ার নায়ক হয়ে ওঠেন। ফলে একাধিক গোলমুখী আক্রমন করেও সমতা ফেরাতে পারেনি ইউক্রেন। বিরতিতে যাওয়ার সময় তাদের বিরুদ্ধে স্কোর ছিল ০-১।
আরও পড়ুন : করোনা আবহে ফের বাতিল অমরনাথ যাত্রা, থাকছে অনলাইন আরতির ব্যবস্থা
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ট্যাকটিক্যাল পরিবর্তন করে ইয়ার্মালেঙ্কোকে আরও বেশি ফ্রি খেলার সুযোগ করে দেন কোচ আন্দ্রেই শেভচেঙ্কো। কিন্তু অস্ট্রিয়ার মিডফিল্ডের তিন সেনানী লাইনার,ক্লাগার,গ্রিলিস বারবার ইউক্রেনের আক্রমণ দানা বাধার আগেই ভেস্তে দিচ্ছিলেন। কাঙ্খিত গোলের লক্ষ্যে ইউক্রেন ৮২ মিনিটে দীর্ঘকায় স্ট্রাইকার আর্টেম বেসেদিনকে মাঠে নামায়। অস্ট্রিয়া ডিফেন্সে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনার চেষ্টা করেন ইয়ার্মাচুকরা। কিন্তু গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি তারা। ফলে অত্যন্ত হাই স্পিডে খেলা উপভোগ্য এক ম্যাচে বমগার্টনারের গোলে জিতে নেদারল্যান্ডসের সাথে গ্রুপ ‘সি’ থেকে সরাসরি নক আউট রাউন্ডে চলে গেল ডেভিড আলাবার দেশ।