ওয়েব ডেস্ক: দর্শকশূন্য মাঠে গ্যালারি ভরতে ব্যবহার করা হল সেক্স ডল! করোনা মহামারি যে কত নতুন নতুন ঘটনার সাক্ষী করছে বিশ্ববাসী, তার ইয়ত্তা নেই। লকডাউনের মধ্যে সাধারণের কল্পনাতীত সব কাণ্ডকারখানা ঘটে যাচ্ছে এদিক-সেদিক। ঠিক যেমনটা ঘটল দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে একটি ফুটবল ম্যাচে।
বুন্দেশলিগা শুরু হওয়ার আগেই রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে শুরু হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় ফুটবল লিগ। লকডাউন পরবর্তী সময়ে কে লিগে প্রথম হোম ম্যাচ ছিল এফসি সিওলের। গোয়াংজু এফসির বিরুদ্ধে সেই ম্যাচের সময় গ্যালারির দর্শকাসনে কিছু পুতুল সাজিয়ে রেখেছিল আয়োজকরা। তাদের জানা ছিল না যে, মহিলাদের আদলে তৈরি পুতুলগুলি আসলে সেক্স ডল।
2016 K League winners FC Seoul inadvertently used sex dolls rather than fashion mannequins to help fill empty stands this weekend. The club has apologised. Both the club and the supplier are pointing fingers at others. (It's not just COVID-19 you need to avoid catching!) #kleague pic.twitter.com/59rSU8XxYL
— Devon Rowcliffe (@WhoAteTheSquid) May 17, 2020
এক-একটি পুতুলের গায়ে এক-এক ধরনের জার্সি-টি-শার্ট। ফুটবলারদের উৎসাহ দেওয়ার ভঙ্গিতেই বসে তারা। রবিবার এ দৃশ্য সামনে আসতেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। ঘরের দল জিতলেও খেলার মাঠে ক্লাবের তরফে এমন ‘অশালীন আয়োজন’ দেখে হতবাক ফুটবলপ্রেমীরা।
এফসি সিওলের দাবি, ফুটবলারদের উৎসাহ দিতেই তারা ম্যানিকুইনের ব্যবহার করেছিল। সেগুলি সেক্স ডল নয়। এমনকী তারা এও জানায়, যে কোম্পানির থেকে ম্যানিকুইনগুলি আনা হয়েছিল, তারা সেক্স ডল তৈরি করে না। কিন্তু সেই কোম্পানি আবার বলে, গ্যালারিতে সজ্জিত সমস্ত পুতুল তাদের কোম্পানির নয়। আর এতেই অভিযোগ জোড়াল হয়। তাছাড়া গোটা স্টেডিয়ামে কেন শুধুই মহিলা পুতুল, সে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।
তার পরেই অবশ্য টনক নড়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের। এফসি সিওলের তরফে রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে ক্ষমা চাওয়া হয় এবং জানিয়ে দেওয়া হয় যে, অজ্ঞতার কারণে ঘটা এই দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না। ক্লাবের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। এমন কঠিন সময়ে আমরা পরিবেশটাকে হালকা রাখার চেষ্টা করেছিলাম। কিছু করার আগে আমাদের অবশ্যই ভাবনা-চিন্তার প্রয়োজন ছিল। নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, ভবিষ্যতে এমন কিছু কখনই ঘটবে না।’