ওয়েব ডেস্ক: প্রথমে পিকে। তারপর চুনী।এক মাসের ব্যবধানে আমাদের ছেড়ে গেলেন দুই কিংবদন্তি।কিংবদন্তী চুনী গোস্বামীর এভাবে চলে যাওয়াটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে ময়দানি প্রাক্তনীদের। সুব্রত ভট্টাচার্য থেকে সুভাষ ভৌমিক, সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শ্যাম থাপা। প্রত্যেকেই ভারাক্রান্ত। তবুও মোহনবাগান রত্নের প্রয়াণে স্মৃতির সাগরে ডুব দিলেন তারকারা।
চুনী গোস্বামীর প্রয়াণে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে শোকবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে।
AIFF condoles Subimal (Chuni) Goswami’s death ?
— Indian Football Team (@IndianFootball) April 30, 2020
Read here ? https://t.co/zMwC2WfYFX#IndianFootball pic.twitter.com/QaeL3wskQy
তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন AIFF সভাপতি প্রফুল প্যাটেল।
Another legendary Indian Footballer and a fine first class cricketer has left us today. Rest in eternal peace Shri. Chuni Goswami. My heartfelt condolences to his bereaved family.#ChuniGoswami #RIPLegend #IndianFootball @IndianFootball pic.twitter.com/UT70VJsfBj
— Praful Patel (@praful_patel) April 30, 2020
সুব্রত ভট্টাচার্য স্মৃতিচারণায় তুলে ধরলেন মোহনবাগানের দিনগুলির কথা। কীভাবে খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করতেন সে কথা বললেন। এমন বড় মাপের ফুটবলার ভারত খুব কমই পেয়েছে। তাঁর আকস্মিক প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না। সুভাষ ভৌমিকের মতে, ‘ভারতবর্ষের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ ছিলেন চুনীদা। এত ভাল খেলোয়াড়, এত ভাল মানুষ হঠাৎ চলে যাবেন ভাবতে পারছি না।’ প্রাক্তন ক্রিকেটার সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘আমার দেখা বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ ছিলেন চুনীদা। কারণ একজন খেলোয়াড় যিনি ক্রিকেট এবং ফুটবল দুই খেলাতেই বাংলাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমার প্রথম ক্যাপ্টেন ছিলেন মোহনবাগানে। কী করে ভুলি ওনাকে?’
প্রাক্তন দুই ফুটবলার শ্যাম থাপা এবং শিশির ঘোষ যেমন স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে ভেঙে পড়লেন। তাঁদের চোখে ভারতের অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ ছিলেন চুনী গোস্বামী। দীপেন্দু বিশ্বাসও বললেন, ‘ভারতবর্ষের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন চুনী স্যর। তাঁর মৃত্যু ভারতীয় ফুটবলে অপুরণীয় ক্ষতি।’ আদ্যন্ত মোহনবাগানি চুনী গোস্বামীর প্রয়াণে শোকাহত সবুজ-মেরুন শিবিরের সচিব সৃঞ্জয় বোস। তিনি বলেন, ‘ওনার মৃত্যু ভারতীয় ফুটবলে নক্ষত্র পতন। অনেক ছোটবেলা থেকে ক্লাবে যেতাম যখন তখন থেকে ওনার সংস্পর্শে এসেছিলাম। তবে ছোট ছিলাম বলে কখনও দূরে সরিয়ে দেননি। সবসময় আপন করে নিতেন। এটাই ছিল ওনার ইউএসপি।’
রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘বাংলা মা তাঁর এক অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারাল। এ ক্ষতি কোনওদিন পূরণ হবে না। যতদিন বাংলার ফুটবলের নাম থাকবে তিনি অমর হয়ে থাকবেন।’