অন্তিম দিনে বৃষ্টির জন্য ড্র হয়ে গেল ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট! জয়ের কাছে এসেও বিরাট কোহলিদের নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে প্রথম টেস্ট জেতা হলো না। খারাপ আবহাওয়াই ইংল্যান্ডের মাটিতে ভিলেন হয়ে দাঁড়াল। আর সিরিজে এগিয়ে যাওয়া হলো না কোহলি এন্ড কোংয়ের। যদিও বৃষ্টি পঞ্চম দিনে বিরাটদের জয় ভেস্তে দিতে পারে বলেই আগাম পূর্বাভাস ছিল। সেটাই ঘটল!
এতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য দুই দলই নিজেদের মধ্যে ৪ পয়েন্ট করে ভাগ করে নিয়েছে। আর এতেই চূড়ান্ত হতাশ বিরাট কোহলি।তাঁর মতে, পঞ্চম দিনের খেলা হলে প্রথম টেস্টটা ভারত সহজেই জিততে পারত। কিন্তু বৃষ্টির জন্য সবটাই ভেস্তে গেলে। আসলে পঞ্চম দিন ১৫৭ রান করলেই ভারত জিতে যেত। হাতে ৯ উইকেট ছিল।
ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ১৮৩ রানের জবাবে ভারত ২৭৮ রান করেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক জো রুটের শতরানে ইংল্যান্ড করেছিল ৩০৩ রান। পঞ্চম দিনে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০৯ রান। চতুর্থ দিনের শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ভারত ৫২ রান করেছিল। যার ফলে পঞ্চম দিনে আর মাত্র ১৫৭ রান করলেই জিতে যেত ভারত। কিন্তু গোটা দিন ধরে অঝোর বৃষ্টি বিরাট কোহলিদের সব পরিকল্পনা এলোমেলো করে দিয়েছে। আগামী ১২ অগাস্ট থেকে লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে বিরাট-রুটরা।
UPDATE: Play has been abandoned. ☹️
The first #ENGvIND Test at Trent Bridge ends in a draw.
We will see you at Lord's for the second Test, starting on August 12. #TeamIndia
Scorecard ? https://t.co/TrX6JMzP9A pic.twitter.com/k9G7t1WiaB
— BCCI (@BCCI) August 8, 2021
আরও পড়ুন: Tokyo 2020: অলিম্পিকের গোল্ড মেডেলে সোনা কিন্তু নেই, তবু স্বর্ণপদক কেন বলে জেনে নিন
হতাশ ভারত অধিনায়ক তাই বলছিলেন, ‘আমরা বৃষ্টিটা তৃতীয় এবং চতুর্থ দিনে আশা করেছিলাম। কিন্তু পঞ্চম দিনেই বৃষ্টিটা হল। খেলতে পারলেই আমরা খুশি হতাশ। কিন্তু এটা খুবই হতাশার। আমরা শুরুটা যে ভাবে শক্ত হাতে করতে চেয়েছিলাম, সে রকমই করেছিলাম। পঞ্চম দিনে আমাদের জেতার আশা ছিল, সেটা জানতাম।’
কোহলি আরও বলেছেন, ‘আমরা এই ম্যাচে এগিয়েই ছিলাম। এই ম্যাচটা জিতলে সেটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হত। কিন্তু পঞ্চম দিনে আমরা খেলতেই পারলাম না, এটা খুবই হতাশার। চতুর্থ দিন পঞ্চাশের উপর রান করাটা প্লাস পয়েন্ট ছিল। আমরা কিন্তু নিজেদের বাঁচানোর জন্য লড়াই করছিলাম না। আমরা এই সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার জন্য লড়াই করছিলাম।’
রুটের ঝকঝকে শতরান ছাড়াও ট্রেন্ট ব্রিজ সাক্ষী থাকল অ্যান্ডারসনের অনন্য কীর্তির। অ্যান্ডারসন ভারতের প্রাক্তন কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলকে টপকে টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়ে গেলেন। ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকার সবার ওপরে মুথাইয়া মুরলীধরন। তাঁর ঝুলিতে ৮০০টি উইকেট। দুয়ে শেন ওয়ার্ন (৭০৮)। তিনে থাকা কুম্বলের শিকার ছিল ৬১৯। তাঁকে টপকে যান ব্রিটিশ তারকা পেসার।
আরও পড়ুন: ২০২৮ অলিম্পিক্সে ক্রিকেট থাকার জোর সম্ভাবনা, উদ্যোগী ভারতীয় বোর্ড