তিনটি টেস্ট ও তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের সিরিজ খেলতে ভারতীয় দল রওনা দিল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। তবে বিতর্ককে সঙ্গী করেই। বিরাট কোহলির সাংবাদিক বৈঠকের পর যেভাবে তাঁর সঙ্গে বিসিসিআই, আরও স্পষ্ট করে বললে বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সংঘাতের চিত্রটি সামনে এসেছে তা ভারতীয় ক্রিকেটের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: ব্য়াটে রান নেই, তবুও এমন রেকর্ড গড়লেন Virat Kohli যা বিশ্বে প্রথম…
All buckled up ✌?
South Africa bound ✈️??#TeamIndia #SAvIND pic.twitter.com/fCzyLzIW0s
— BCCI (@BCCI) December 16, 2021
দলনায়ক বিরাট কোহলির উপর বোর্ডকর্তারা এতটাই চটেছেন যে প্রয়োজনে দক্ষিণ আফ্রিকার ভূমিতে তাঁকে শোকজ করলেও আশ্চর্য হওয়ার নেই। বিরাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ ,অসত্য ভাষণ এবং পদের শালীনতা ভঙ্গের। আজ পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেটের ঊননব্বই বছরের ইতিহাসে বোর্ডেরই দেওয়া মঞ্চে বোর্ডেরই ওপর ভারত অধিনায়কের গোলাবর্ষণের মতো আজব কাহিনী দুটো নেই। আর তিনি কোহলি তো শুধু তীব্র সমালোচনাই করেননি ,বোর্ডপ্রধানকে প্রকাশ্যে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করে ছেড়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন প্রথম টেস্টের আগে বিদেশের মাঠে শোকজ করলে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হবে।
তাঁকে এক দিনের ক্রিকেটের অধিনায়ক পদ থেকে সরানো নিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি খারিজ করে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। জানিয়েছেন, তাঁকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বোর্ডের কেউই বারণ করেননি। এমনকী, দক্ষিণ আফ্রিকার দল বেছে নেওয়ার মাত্র ৯০ মিনিট আগে তাঁকে ফোন করে এক দিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। বোর্ড এবং কোহলীর মধ্যে এই যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তাতে বিরক্ত সুনীল গাওস্কর। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মনে করছেন, সৌরভের উচিত এই অস্বচ্ছতা দূর করে মুখ খোলা এবং সবার সামনে বিষয়টি পরিষ্কার করা।
মোহিন্দর অমরনাথ একবার বাদ পড়ে নির্বাচক কমিটিকে একদল ভাঁড়ের সমাবেশ বলেছিলেন। দ্রুত তাঁকে শো-কজ করে টিম থেকে বাদ দেওয়া হয়। কোহলির ক্ষেত্রে সময় বদলেছে। জমানা বদলেছে। প্লেয়ারের ঔজ্জল্যও এক নয়। তিনি মোহিন্দর যতই তিরাশির বিশ্বকাপ জেতানোয় অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে থাকুন,বিরাট হলেন বিরাট। বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাঁচ স্পোর্টিং সুপারস্টারের একজন। তিনি কাউকে আক্রমণ করা মানে সেই স্ফুলিঙ্গ মুহূর্তে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়া। বোর্ডকর্তারা গোড়ায় বিরাটের বোমা বর্ষণে একটু হতবুদ্ধি হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু রাত্তিরের দিকে নতুন ভাবনা শুরু হয় যে তাঁর সঙ্গে কথোপকথন যেহেতু ভিডিও কনফারেন্সে হয়েছিল এবং অনেক লোক সেখানে মজুত ছিলেন –উল্টে বিরাটের কাছে অসত্য ভাষণের ব্যাখ্যা চাওয়া হোক। কারণ তিনি যা করেছেন পরিষ্কার শৃঙ্খলাভঙ্গ। বৃহস্পতিবার এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
আরও পড়ুন: হার্টের অবস্থা খারাপ , চোখের জলে ফুটবলকে বিদায় জানালেন আগুয়েরো