সুপার ওভারে বিরাট ব্যাটে জয় রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। নাটকীয়তায় ভরা শেষ ওভার। ২০-২০ ওভার শেষে ম্যাচ টাই। এরপর সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে মুম্বই এক উইকেট হারিয়ে তোলে ৭ রান। সুপার ওভারে দুরন্ত বোলিং করেন নভদীপ সাইনি। আর জশপ্রীত বুমরাহর ওভারে একটা করে বাউন্ডারি মারলেন বিরাট কোহলি আর এবি ডিভিলিয়ার্স। এক বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নিল আরসিবি। আইপিএলে দ্বিতীয় জয় পেল তারা।
এদিন ম্যাচটা শুধুই রোহিত বনাম কোহলির অধিনায়ত্বের ছিল না। বরং আরও বেশি করে ছিল, এবি বনাম বোল্টের। কায়রন পোলার্ড বনাম নবদীপ সাইনির। তবে তারকা সমাবেশে খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই ঢুকে পড়ে লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছিলেন কিষান। নিজের ব্যাট দিয়ে নতুন করে টি-টোয়েন্টির সংজ্ঞা রচনা করলেন তিনি।
আরও পড়ুন : কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা! কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে নয়া কৃষি আইন উপেক্ষার ডাক সোনিয়ার
তবে একইসঙ্গে রয়ে গেল একটি রান না করতে পারার চাপা যন্ত্রণা। ৫৮ বলে ৯৯ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস উপহার দিয়ে মাঠ ছাড়লেন। মুম্বই ইনিংসের শেষ বলে চার হাঁকিয়ে তাঁর অসমাপ্ত থাকা কাজটাই যেন করলেন পোলার্ড। ২৪ বলে ৬০ রান করে অপরাজিত থেকে ম্যাচ নিয়ে গেলেন সুপার ওভারে।
২০২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি মুম্বই ইন্ডিয়ানসের। মাত্র ৮ রানে ফিরলেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। রানের খাতা খুলতে পারেননি সূর্যকুমার যাদব। ১৪ রান করলেন কুইন্টন ডি’কক। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে মুম্বই। ১৫ রান করেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। তবে ইশান কিষান একদিক ধরে রানের গতি বাড়াতে থাকেন।
এদিন টস জিতে প্রথমে বিরাট কোহলির দলকে ব্যাট করতে পাঠান মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শুরুটা দুরন্ত করেন দুই আরসিবি ওপেনার- দেবদত্ত পাডিক্কল (৫৪) এবং অ্যারোন ফিঞ্চ (৫২)। অধিনায়ক বিরাট কোহলি ব্যাট হাতে ফের ব্যর্থ। এদিন করলেন মাত্র ৩ রান।
এবি ডিভিলিয়ার্স ২৪ বলে ৫৫ এবং শিবম দুবে ১০ বলে ২৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। আইপিএলে ৪৫০০ রানের ক্লাবে ঢুকে পড়লেন এবিডি। ডেভিড ওয়ার্নারের পর দ্বিতীয় বিদেশি হিসেবে এই নজির গড়লেন ডিভিলিয়ার্স। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।
আরও পড়ুন : রামলীলা হবে, তবে প্যান্ডেল করে দুর্গাপুজো নয়, যোগীর ঘোষণা ঘিরে বিতর্ক