ফাইনালের আগে এবারের আইপিএলে তিন বারের সাক্ষাতে তিন বারই মুম্বইয়ের কাছে হেরেছিল দিল্লি। ফাইনালেও ছবিটা বদলালো না। দিল্লিকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার আইপিএল জিতে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ানস। সব মিলিয়ে রেকর্ড পাঁচ বার ট্রফি ঘরে তুলল মুম্বইয়ের দলটি। ২০০ তম আইপিএল ম্যাচ খেলতে নেমে ব্যাট হাতে রান সঙ্গে আইপিএল ট্রফি জিতে স্মরণীয় করে রাখলেন মুম্বই ইন্ডিয়ানস অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
দুবাইয়ে আইপিএলের ফাইনালে এ যেন এক অন্য রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। চোট, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে প্রথমদিকে দলে নাম না থাকা–সমস্ত কিছুর জবাব যেন এদিনই দিয়ে দিলেন। নিজের ২০০ তম আইপিএল ম্যাচে খেললেন অধিনায়কোচিত ইনিংস। ইশান কিষান, ডি’কক, সূর্যকুমাররাও তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন। আর ব্যাটে–বলে দুরন্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে পাঁচ উইকেটে দিল্লিকে হারিয়ে পঞ্চমবার আইপিএল খেতাব জিতে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)। গতবারের পর এবারও।
আরও পড়ুন : ৮ মাস পর দৌড়াল লোকাল ট্রেন, হাওড়ায় সেই চেনা ভিড়
অফ ফর্মে থাকা রোহিত শর্মা ফাইনালে একেবারে চেনা মেজাজে। ১৫৭ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে পাওয়া গেল কুইন্টন ডিকক এবং রোহিত শর্মাকে। ডিকক ১২ বলে ২০ রানে ফিরে গেলেও সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে জুটি বেঁধে এগোতে থাকেন রোহিত শর্মা। ১৯ রানে নিজের উইকেট দিয়ে এলেন সূর্যকুমার যাদব। রোহিতের সঙ্গে রান নিতে গিয়ে তালমিল না হওয়ায় অধিনায়ককে বাঁচিয়ে রান আউট হন সূর্য।
গোটা আইপিএলে বল হাতে আগুন ছোটালেও ফাইনালে তেমনভাবে জ্বলে উঠতে পারলেন না রাবাদা কিংবা নর্টজে। রোহিতের চওড়া ব্যাটে সহজেই ম্যাচ জিতে নিল মুম্বই। ৫১ বলে ৬৮ রান করলেন রোহিত শর্মা। পাঁচটা বাউন্ডারি আর চারটে ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো হিটম্যানের ইনিংস। ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন ইশান কিষান। ৮ বল বাকি থাকতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফাইনাল জিতে নেয় মুম্বই।
গোটা টুর্নামেন্টেই দুরন্ত ফর্মে ছিলেন মুম্বই ক্রিকেটাররা। প্রথম ম্যাচ হারলেও তারপর দুরন্তভাবে ফিরে আসেন রোহিতরা। খেললেন গতবারের চ্যাম্পিয়নের মতোই। দলের হয়ে যেমন দুরন্ত ব্যাটিং করেন ইশান কিষান–সূর্যকুমাররা। তেমনই দুরন্ত বোলিং করেন বোল্ট–বুমরাহ জুটি।
আরও পড়ুন : বিহারে সরকার গড়তে চলেছে এনডিএ, এক নম্বরে তেজস্বীর দল