দীপক চাহরের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে কার্যত অসহায় আত্মসমর্পণ করল পঞ্জাব কিংস। অসহায় অবস্থা কাটিয়ে উঠে অবশেষে জয়ে ফিরল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপারকিংস।
ভারতীয় দলের হয়ে বেশ কয়েকটি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন দীপক চাহর। যথেষ্ট নামডাকও করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেটা ছিল ২০১৯-এর কথা। গত বছর ভারতের জার্সি গায়ে পরতে দেখা যায়নি তাঁকে। কিন্তু চাহর যে কোনো ভাবেই ফুরিয়ে যাননি সেটাই বোঝা গেল এ বার।
একার হাতে পঞ্জাবের ইনিংস ভেঙে দিলেন চাহর। বৃহস্পতিবার ম্যাচের শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে পঞ্জাব ব্যাটিং। একে একে প্যাভিলিয়নের পথ দেখেন ময়াঙ্ক অগ্রবাল, ক্রিস গেল, কেএল রাহুল, নিকোলাস পুরান এবং দীপক হুডা। তিরিশ রানে পৌঁছোনোর আগেই পাঁচ উইকেট হারায় পঞ্জাব। এর মধ্যে শুধুমাত্র রাহুল রান আউট হয়েছিলেন। বাকিরা সবাই চাহরের শিকার।
এর পর ঝাই রিচার্ডসনকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্জাবের ইনিংস সামাল দেন শাহরুখ খান। এই বছরের শুরুতে সঈদ মুস্তাক আলি টুর্নামেন্টে তামিলনাড়ুর হয়ে দুরন্ত খেলেছিলেন শাহরুখ। তার পরেই আইপিএলের নিলামে তাঁকে তুলে নেয় প্রীতি জিন্টার পঞ্জাব। প্রীতির দলে শাহরুখের আগমন নিয়ে যথেষ্ট কথাবার্তা হয়েছিল।
ব্যাটিংটা তিনি যে খুব ভালোই করেন, সেটা এ দিন বোঝা গেল। দলের রানের প্রায় অর্ধেকই এসেছে শাহরুখের ব্যাট থেকে। দল বিপদে পড়লেও সাহস করে ছক্কাও লাগিয়েছেন এই তরুণ। অর্ধশতরান প্রায় করেই ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু তিন রান দূরেই তাঁকে থামিয়ে দেন স্যাম কারান। শাহরুখ ছিলেন বলেই একশো পার করতে পেরেছিল পঞ্জাব। না হলে অনেক আগেই থেমে যেত তাদের ইনিংস।
গত বারের লজ্জাজনক পারফরম্যান্সের পর এ বারও প্রথম ম্যাচে দিল্লির বিরুদ্ধে হার। এই ধাক্কা সামলে ওঠার চ্যালেঞ্জ ছিল চেন্নাইয়ের কাছে। চেন্নাইয়ের সেই লক্ষ্যটা অনেকটাই সহজ করে দিল পঞ্জাব।
এত কম রানের পুঁজি নিয়ে টি২০-তে কোনো দলই তার বিপক্ষকে আটকে রাখতে পারে না। পঞ্জাবও সেটা পারেনি। চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানরা খুব সহজেই রান তাড়া করেন। তবে শুরুতে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল হলুদ জার্সিধারীরা। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ঋতুরাজ গায়েকওয়াড়কে ফিরিয়ে চেন্নাইকে একটু ধাক্কা দেন অর্শদীপ সিংহ।
এর পর অবশ্য চেন্নাইয়ের রান ক্রমশ বাড়তে থাকে। মঈন আলি এবং ফাফ দু’প্লেসি মিলে দলের স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। দুরন্ত জুটি তৈরি হয় দু’জনের মধ্যে। চেন্নাইয়ের হয়ে খুব মূল্যবান ক্রিকেটারে পরিণত হচ্ছেন মঈন। দিল্লির বিরুদ্ধে আগের ম্যাচেও ভালো ব্যাট করেছিলেন তিনি। এ বার আরও ঝকঝকে একটা ইনিংস খেললেন তিনি।
জয়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে মাত্র ১৭ রান দূরে মুরুগান অশ্বিনের শিকার না হলে আইপিএল কেরিয়ারের আরও একটি অর্ধশতরান করে ফেলতে পারতেন মঈন। তবে ততক্ষণে চেন্নাইয়ের ম্যাচ জয় ছিল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু নতুন নাটকের আমদানি করেন মহম্মদ শামি।
দলের স্কোর যখন ৯৯, তখনই পর পর দু’ বলে রায়না এবং রায়ুড়ুকে ফিরিয়ে ম্যাচ কিছুটা জমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন শামি। তবে রানের পুঁজি এতটাই কম ছিল, যে নতুন কোনো নাটকের অবকাশ ছিল না। শেষে স্যাম কারান একটা চার মেরে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।
? bowling performance
1⃣st win of the season
Interesting social media message ?Wrecker-in-chief @deepak_chahar9 chats with @imShard after @ChennaiIPL's win at Wankhede. ?? – By @NishadPaiVaidya #VIVOIPL #PBKSvCSK @Vivo_India
Full interview ?? https://t.co/y51FcTVFNS pic.twitter.com/tjk6x2FObh
— IndianPremierLeague (@IPL) April 17, 2021
আগের ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হারের পর এক সমর্থক তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন, পরের ম্যাচে না খেলতে। পঞ্জাব ম্যাচের সেরা পুরস্কার সেই সমর্থককেই উৎসর্গ করলেন চাহার। ম্যাচের পর শার্দূল ঠাকুরের সঙ্গে কথোপকথনে একথা জানিয়েছেন হরিয়ানার পেসার।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে হতাশাজনক হার কেকেআরের, রাগ চেপে রাখলেন না কিং খান