যার শেষ ভাল, তার সব ভাল। মঙ্গল সন্ধেতেও একই ঘটনা ঘটল। পেনাল্টি মিস করার পরও লাল-হলুদকে মাটি ধরিয়ে তিনটি পয়েন্ট তুলে নিয়েই মাঠ ছাড়ল হায়দরাবাদ। যারা চলতি টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত অপ্রতিরোধ্য।
জয় পেতে এদিন যেন নিজেদের নিংড়ে দিয়েছিলেন জেজেরা। ২৬ মিনিটে পিলকিংটনের বাড়ানো বল নিখুঁত শটে সেন্টার করেন মাত্তি। যেখান থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি জো মাঘোমা। চলতি টুর্নামেন্টে প্রথম গোলের পরই খেলায় গতি বাড়ে লাল-হলুদের।
আরও পড়ুন: করোনার জের, সংসদে হবে না শীতকালীন অধিবেশন, নেপথ্যে কি কৃষক চাপ?
কিন্তু কিছু পরই বক্সের ভিতর ফাউল করে বসেন সেহনাজ সিং। তবে অ্যাড্রিয়েন স্যান্টানার পেনাল্টি শট আটকে দেবজিৎ হয়ে উঠেছিলেন সেভজিৎ। আর মুহূর্তে দলকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন স্যান্টানা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করে কোচের ভরসার মর্যাদা রাখলেন তিনি।
ফ্রি-কিক কাজে লাগিয়ে একটি গোলের কয়েক মুহূর্ত পরই দ্বিতীয় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। তখনও যেন পিলকিংটনরা বুঝে উঠতে পারেননি ঠিক কী হল।
লিস্টন যেভাবে দু’জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে তৃতীয় গোলের জন্য হরিচরণের পায়ে বলটি সাজিয়ে দিলেন, তা নিঃসন্দেহে দর্শনীয়। এ ম্যাচের সেরা পাওনা বললেও ভুল হবে না। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে আরও বড় ব্যবধানে জিততেই পারত নিজামের শহরের দল।
রক্ষণের সমস্যা যে এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই কারণেই পাঁচ-পাঁচটি ম্যাচের পরও জয়ের মুখ দেখতে পারল না ফাউলারের দল। এদিন শিবিরের প্রাপ্তি মাঘোমার জোড়া গোল। কিন্তু পয়েন্টের ভাঁড়ার সেই শূন্যই। এদিকে ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার পাঁচ নম্বরে উঠে এল হায়দরাবাদ। ছয় ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার শীর্ষে মুম্বই সিটি এফসি।
আরও পড়ুন: বছর শেষে ধোনি-রোহিতকে পিছনে ফেলে নয়া রেকর্ডের মালিক ক্যাপ্টেন কোহলি