তিনি ‘বাদশা’। অনুরাগীরা তাঁকে ভালোবেসে ‘কিং খান’ বলে ডাকেন। তাঁর জন্মদিনটা যে গ্র্যান্ড হবে না, তেমনটা আবার হয় নাকি? গতকাল জীবনের নতুন একটা বছরে পা রাখার আগেই শাহরুখ খানকে সেরা গিফটটা দিল টিম কলকাতা নাইট রাইডার্স। একটা মাত্র জয়! আর এই একটা জয়েই সব হিসেব ওলটপালট করে দিল নাইট ব্রিগেড। চলতি আইপিএলে প্লে-অফের একেবারে দোরগোড়ায় চলে এল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
একেবারে মরণবাঁচন ম্যাচ ছিল। জিতলে প্লে–অফে যাওয়ার আশা থাকবে। আর হারলে সব শেষ। এই পরিস্থিতিতে রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরা খেলাটা বোধহয় খেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)।
আরও পড়ুন: আজ কিং খানের জন্মদিন, আবেগে সোশ্যাল সাইটের ওয়াল ভরালেন বিশ্বের অগণিত ফ্যান
ব্যাটে মর্গ্যান–গিল–ত্রিপাঠিদের দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর বল হাতে কামিন্স–মাভি–বরুণরা থামিয়ে দিলেন রাজস্থানের ‘বিস্ফোরক’ ব্যাটিং লাইন আপকে। ডু অর ডাই ম্যাচে রাজস্থানকে ৬০ রানে হারিয়ে প্লে–অফের যাওয়ার আশাও বাঁচিয়ে রাখল নাইটরা। এখন তাকিয়ে থাকতে হবে আরসিবি–দিল্লি এবং হায়দরাবাদ–মুম্বই ম্যাচের দিকে
That W was a special one! ?#HappyBirthdaySRK@iamsrk #KKRHaiTaiyaar #Dream11IPL #KKRvRR pic.twitter.com/9ZVRUtzUGh
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) November 1, 2020
গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে ইতিমধ্যেই আইপিএলের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে রাজস্থান রয়্যালস। শাহরুখের জন্মদিনে এর থেকে ভালো উপহার আর কীই বা হতে পারত। আজ ৫৫ বছরে পা রাখলেন শাহরুখ খান।
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) November 1, 2020
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। আর প্রথম ওভারেই নীতীশ রানাকে আউট করে অধিনায়কের সিদ্ধান্তের মর্যাদা দেন আর্চার। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে গিল–ত্রিপাঠি জুটির পালটা লড়াইয়ে ম্যাচে ফেরে কেকেআর। দু’জনে মিলে যোগ করেন ৭২ রান। এরপর দ্রুত গিল (৩৬) এবং তাঁর জায়গায় ব্যাট করতে নামা সুনীল নারিন (০) আউট হয়ে যান। শূন্য রানে ফিরে যান দীনেশ কার্তিকও। অন্যদিকে, ৩৯ রানে আউট হন ত্রিপাঠি।
শেষপর্যন্ত দলের মরণবাঁচন ম্যাচে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। ৩৫ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। মারেন পাঁচটি চার ও ছ’টি ছয়। চোটের কারণে শেষ কয়েকটি ম্যাচে বাইরে থাকার পর এদিন ফের প্রথম একাদশে সুযোগ পেলেন রাসেল। তিনি করলেন ১১ বলে ২৫ রান। শেষপর্যন্ত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৯১ রান তোলে কেকেআর।
রাজস্থানও শুরু থেকে দমে যায়নি। প্রথম ওভারে ১৯ রান করার পর তারা নিজেদের ইচ্ছেটাকে আরও স্পষ্ট করেছিল। কিন্তু, প্রত্যেকটা বল তো আর বাউন্ডারির বাইরে পাঠানো সম্ভব নয়! তাই প্রথম ওভারেই ফিরে গেলেন রবিন উথাপ্পা। কিন্তু ভুল থেকে শিক্ষা নেয়নি রাজস্থান। তৃতীয় ওভারে দলের তারকা ব্যাটসম্যান বেন স্টোকসকেও হারায় রাজস্থান। প্যাট কামিন্সকে সেই তাড়াহুড়ো করে বাউন্ডারি মারতে গিয়েই তিনি নিজের উইকেটটা দিয়ে আসেন।
রাজস্থানের ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামে। মাত্র ৩৭ রানের মধ্যেই তারা পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে। রাহুল তেওটিয়া (৩১) এবং জস বাটলার (৩৫) ইনিংসটাকে নতুন করে গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও শেষপর্যন্ত তা করতে পারেননি। অবশেষে নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান তোলে রাজস্থান রয়্যালস।
আরও পড়ুন: দামী ঘড়ি ফেলে দিয়ে ফ্রান্সের প্রোডাক্ট বয়কটের ডাক দিলেন নুসরাত ফারিয়া