মন্ত্রিত্ব সামলানোর পাশাপাশি বাংলার হয়ে রঞ্জি জিততে চান প্রাক্তন ভারতীয় তারকা তথা রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। বাংলার হয়ে ফের মাঠে নেমে পড়াই লক্ষ্য মনোজের৷ তাই ব্যস্ততার মাঝেই বাংলার হয়ে ফের অনুশীলন শুরু করলেন মন্ত্রী মশাই।
শুক্রবার বাংলা দলের ফিটনেস ক্যাম্প শুরু হয়। সেই ক্যাম্পে যোগ দেন মনোজ। তবে বৃহস্পতিবার থেকেই ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। সিএবি-র ইনডোর জিমে ঘন্টাখানেক গা ঘামান মনোজ তিওয়ারি। ফিটনেস ক্যাম্পে যোগ দিয়ে মনোজ বলছেন, ‘মানসিক দৃঢ়তা থাকলে দু’টি কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব। দলের সঙ্গে কথা বলে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী আমায় খেলার বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন। মাঠে নামলেও মন্ত্রী হিসেবে কাজে কোনও খামতি হবে না। আমার বিধানসভা এলাকার মানুষও সব রকম পরিষেবা পাবেন। আমার টিম তৈরি রয়েছে। আমার ব্যাক আপ হিসেবে তাঁরা কাজ করবে।’
আরও পড়ুন : আচমকাই তিব্বত সফরে চিনের প্রেসিডেন্ট Xi Jinping,সফর ঘিরে চরমে জল্পনা
কিন্তু লম্বা ক্রিকেট মরশুমের সঙ্গে এত দায়িত্ব কীভাবে সামলাবেন? মনোজের কথায়, ‘আমি একটু কম ঘুমালেই সব ম্যানেজ করতে পারবো। নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই সবদিক সামলে নিতে হবে৷’
ভোটে দাঁড়ানোর সময় থেকে মন্ত্রী হওয়া। খাদ্যাভাস অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে নিশ্চয়ই মনোজের? প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দাবি, ‘ভোটের সময়ে রুটিনে একটু অনিয়ম হয়েছিল বটে। ভোটে জেতার পর মিষ্টি খাওয়ার পরিমাণ একটু বেড়ে গিয়েছিল। তবে আমি আবার সব কন্ট্রোল শুরু করেছি। আমাকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে আমি কতটা ফিট।’
বাংলার ফিটনেস ক্যাম্প মনোজের নাম থাকলেও মন্ত্রীর শারীরিক কন্ডিশন নিয়ে নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কারণ দীর্ঘ ছয় মাস মাঠের বাইরে রয়েছেন মনোজ। তবে নিন্দুকদের জবাব দিয়ে মনোজের দাবি, ‘যতই চাপ থাকুক, ফিটনেস নিয়ে অবহেলা করছি না। কোচের সঙ্গে কথা বলে আলাদা করে অতিরিক্ত পরিশ্রম করব। ক্রিকেটকে এখনও উপভোগ করছি তাই খেলা চালিয়ে যেতে চাই। বাংলাকে রঞ্জি ট্রফি জেতানোই আমার লক্ষ্য।’
মনোজ জানিয়েছেন, ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার ভাবনা নিয়েই রাজনীতিতে এসেছিলেন৷ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগেই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানিয়েছিলেন তিনি৷ মনোজ বলেন, ‘দিদিকে বলেছিলাম আমি খেলতে চাই৷ দিদি তখনই সম্মতি দিয়েছিলেন৷ তিনটে ফর্ম্যাটের জন্য তৈরি হয়ে মাঠে নামব৷ ‘
তবে প্রশ্ন হচ্ছে, করোনার কারণে ক্রিকেটারদের সুরক্ষা কবচ হিসেবে তৈরি হওয়া জৈব সুরক্ষা বলয় বা বায়ো বাবলে প্রায় ছ’ মাস থাকতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার জন্য। বছরের অর্ধেকটা সময় মন্ত্রী মনোজ পারবেন তো রাজনীতি থেকে একটু সরে ক্রিকেটকে ধ্যান-জ্ঞান করে চলতে? সময়ই প্রশ্নের উত্তর দেবে।
আরও পড়ুন : ICC Rankings: ওয়ান ডে ব্যাটসমেনে শীর্ষে Babar Azam, ৯ পয়েন্ট কমে ২য় স্থানেই Kohli