মুম্বই: ২০৮/৫ (২০ ওভার)
হায়দরাবাদ: ১৭৪/৭ (২০ ওভার)
(মুম্বই ৩৪ রানে জয়ী)
দুবাইয়ে চলতি আইপিএলে এবার অনন্য রেকর্ড গড়লেন রোহিত শর্মা। আইপিএলে ১৯৩টি ম্যাচ খেলে ছুঁয়ে ফেললেন সুরেশ রায়নাকে। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডের তালিকায় দু’নম্বরে উঠে এলেন রোহিত। আর রোহিতের রেকর্ড গড়ার দিনে ৩৪ রানে জয় পেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও। অবশ্য সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল মনীশ পাণ্ডের অবিশ্বাস্য ক্যাচ। যার ভিডিও কি না ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটি করে মুম্বই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২০৮ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদ ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৪ রানে আটকে যায়। মুম্বই ম্যাচ জিতে যায় ৩৪ রানের ব্যবধানে।
That's that! @mipaltan win by 34 runs and register another win in #Dream11IPL 2020.#MIvSRH pic.twitter.com/CIZEjDmvXa
— IndianPremierLeague (@IPL) October 4, 2020
মুম্বইয়ের হয়ে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন রোহিত। তবে তাঁর ক্যাপ্টেনের ব্যর্থতা ঢেকে দেন বাকিরা। রোহিত ৬ রান করে আউট হন। ডি’কক ৩৯ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন। তিনি ৪টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। সূর্যকুমার ৬টি চারের সাহায্যে ১৮ বলে ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ইশান ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ৩১ রানের যোগদান রাখেন। হার্দিক পান্ডিয়া ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৯ বলে ২৮ রান করে ক্রিজ ছাড়েন।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই পুজোর সাজ! পাঞ্জাবি-পায়জামাতে মহারাজকে দেখে মাতোয়ারা নেটপাড়া
পোলার্ড ১৩ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ২টি ছক্কা হাঁকান। ক্রুণাল পান্ডিয়া ইনিংসের শেষ ৪টি বলে ব্যাট করেন। ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২০ রান করে নট-আউট থেকে যান তিনি। রশিদ খান ৪ ওভারে ২২ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন। ভুবনেশ্বরের জায়গায় দলে ঢোকা সিদ্ধার্থ কউল ২টি উইকেট নিলেও ৪ ওভারে ৬৪ রান খরচ করেন। সন্দীপ শর্মা নিয়েছেন ২টি উইকেট। সিদ্ধার্থ আইপিএলে ৫০টি উইকেটের মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেন এদিন।
̶E̶v̶e̶r̶y̶ ̶t̶e̶a̶m̶ ̶w̶i̶l̶l̶ ̶s̶c̶o̶r̶e̶ ̶2̶0̶0̶ ̶a̶t̶ ̶S̶h̶a̶r̶j̶a̶h̶ ̶ ?#OneFamily #MumbaiIndians #MI #Dream11IPL #MIvSRH @krunalpandya24 @ishankishan51 pic.twitter.com/MBoXP7KLbK
— Mumbai Indians (@mipaltan) October 4, 2020
হায়দরাবাদের হয়ে কার্যত একা লড়াই চালান ওয়ার্নার। তিনি ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ বলে ৬০ রান করে আউট হন। এছাড়া মণীশ পান্ডে ১৯ বলে ৩০, জনি বেয়ারস্টো ১৫ বলে ২৫ ও আব্দুল সামাদ ৯ বলে ২০ রান করে আউট হন। কেন উইলিয়ামসন ৩, প্রিয়ম গর্গ ৮ ও অভিষেক শর্মা ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মুম্বইয়ের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট, জেমস প্যাটিনসন ও জসপ্রীত বুমরাহ। ১টি উইকেট ক্রুণাল পান্ডিয়ার। এ জয়ের ফলে ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিলে লিগ টেবিলের এক নম্বরে উঠে আসে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
তবে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে নিকোলাস পুরানের বাউন্ডারি সেভ যদি আইপিএলের ইতিহাসে সেরা ফিল্ডিংয়ের নমুনা হিসেবে বিবেচিত হয়, তবে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে মণীশ পান্ডের দুরন্ত ক্যাচও কোনও অংশে কম যায় না। আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই, এটাই কি এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের সেরা ক্যাচ?
https://twitter.com/115_Adelaide/status/1312716372720283648?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1312716372720283648%7Ctwgr%5Eshare_3&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.anandabazar.com%2Fsport%2Fipl-2020-sensational-catch-by-manish-pandey-in-mi-v-srh-match-dgtl-1.1210981
শারজায় ইনিংসের ১৫তম ওভারে সন্দীপ শর্মার শেষ বল তুলে মারেন ইশান কিষাণ। বাউন্ডারি লাইনে শরীর শূন্যে ছুঁড়ে দিয়ে উড়ন্ত ক্যাচ ধরেন মণীশ পান্ডে। এমন অসাধারণ ক্যাচ দেখে ধারাভাষ্যকাররা যারপরনাই আপ্লুত। মুগ্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরাও। তাঁর ক্যাচ দেখে কিরণ মোরে থেকে মাইকেল স্ল্যাটার উচ্ছ্বসিত। মণীশের ক্যাচকে এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেরা ক্যাচ বলে উল্লেখ করছেন তাঁরা। কিরণ মোরে বলেন, “এখনও পর্যন্ত এটাই টুর্নামেন্টের সেরা ক্যাচ।”