ওয়েব ডেস্ক: লকডাউনে রোহিত শর্মার সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে ইনস্টাগ্রামে আড্ডা দিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। সেখানেই যুজবেন্দ্র চাহলকে নিয়ে নাকি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন যুবরাজ সিং।এরপরেই নেটিজেনদের দাবি চাহলের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে যুবরাজ সিংকে। শুরু হয়েছে, ‘যুবরাজ সিং মাফি মাঙ্গো’ ক্যাম্পেনও।
ঘটনা অবশ্য সেই এপ্রিল মাসের। সেই সময়, রোহিত শর্মার সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসেছিলেন যুবি। সেখানেই চাহালের টিকটক ভিডিওর প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে যুবি জাতি বিদ্বেষী মন্তব্য করে বসেন। বিষয়টির গুরুত্ব না বুঝেই। সেই সময়ে বিষয়টি নজর এড়িয়ে গেলেও সেই ভিডিওর বিতর্কিত ক্লিপটি কিছুদিন আগেই ফের একবার ভাইরাল হয়। এতেই চটেছেন সমর্থকরা।
সেই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, রোহিত শর্মা হাসতে হাসতে চাহালকে লেগ পুল করলেও, যুবরাজ চাহালকে ‘ভাঙ্গি’ (জাতি বিদ্বেষ মন্তব্য) বলেন৷তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়াজ উঠে গিয়েছে, যুবরাজ ক্ষমা চাও!
আরও পড়ুন: মোহনবাগানের লোগো বিকৃতির চেষ্টা, পুলিশের দ্বারস্থ ক্লাব
অনেকের দাবি, কোনও ব্যক্তিকে নিয়ে মশকরা করতে হলে তার জাতপাত তোলার প্রয়োজন নেই। অন্যজন বলছেন, যুবি অনেকেরই আইকন। তাঁর মুখে এমন কথা শোভা পায় না। আর এই জন্যই ওঠে ক্ষমা চাওয়ার দাবি। যদিও এখনও পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেননি বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যুজবেন্দ্র চাহাল ভীষণই সক্রিয়।সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ততম ক্রিকেটার চাহাল। লকডাউনের সময় চাহাল আপাতত সোশ্যাল মিডিয়াতেই নিজেকে সঁপে দিয়েছেন। প্রায় সমস্ত সামাজিক গণমাধ্যমেই নিয়ম করে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। শুধু যুবরাজ ই নন। এর আগে চাহালকে নিয়ে রসিকতা করেছিলেন ক্রিস গেইলও। ক্যারিবিয়ান তারকা বলেছিলেন, “টিকটককে বলছি যেন তোকে ব্লক করে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুই ভীষণই বিরক্তিকর। তোর উচিত এখনই সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দেওয়া। চাহালকে নিয়ে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। তোকে জীবনেও দেখতে চাই না। তোকে ব্লক করে দেব।”
যাইহোক, এই প্রথমবার নয়, এর আগেও অযাচিত বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন যুবরাজ। শাহিদ আফ্রিদির ফাউন্ডেশনের জন্য ইন্ডিয়ায় ক্যাম্পেনিং করতে গিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন বাঁ হাতি সুপারস্টার। তারপরে আফ্রিদির কাশ্মীর ও মোদি- মন্তব্যের পর পাক তারকাকে টুইটারে সমালোচনা করে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেছিলেন। এর মধ্যেই জড়িয়ে গেলেন নয়া বিতর্কে।