রাজস্থান রয়্যালস: ২১৬/৭ (স্মিথ-৬৯, স্যামসন-৭৪)
চেন্নাই সুপার কিংস: ২০০/৬ (ওয়াটসন-৩৩, ডু প্লেসিস-৭২)
১৬ রানে জয়ী রাজস্থান রয়্যালস
চোট সারিয়ে সম্পূর্ণ ফিট হয়ে স্টিভ স্মিথ যখন ঘোষণা করেছিলেন, আজ মাঠে নামবেন, তখনই যেন আত্মবিশ্বাসটা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল রাজস্থানের। দিনের শেষে সেটাই যেন কাজে দিন। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই সেই চেনা ছন্দে ধরা দিলেন অজি তারকা। নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জেতানোর পাশাপাশি অনবদ্য একটা ইনিংসও দর্শকদের উপহার দিলেন স্মিথ।
চলতি আইপিএলের প্রথম সাদামাটা একপেশে ম্যাচ বলাই যায় চেন্নাই-রাজস্থানের লড়াইকে। যেখানে স্কোরবোর্ডে ২১৬ রান দেখলেই আন্দাজ করে নেওয়া যায় যে কার পাল্লা ভারি। স্মিথ ও স্যামসন শুরুটা তো মারকাটারি করেইছিলেন, আর শেষটায় রাজস্থানকে রানের পাহাড়ে পৌঁছে দিলেন লুঙ্গি এনগিডি। শেষ ওভারে জোড়া ফ্রি-হিটের সৌজন্যে ৩০ রান ঝুলিতে ভরলেন হোফ্রা আর্চাররা। ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে এদিন নয়া রেকর্ডের মালিকও হয়ে গেলেন স্যামসন। কে এল রাহুলের পর আইপিএলে দ্বিতীয় তারকা হিসেবে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চার বলে চার উইকেট, ৬ জন ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে ইতিহাসে আফ্রিদি
২২ বছর আগে যে মাঠ সচিন তেন্ডুলকরের ‘মরুঝড়’-এর ইনিংস দেখেছিল, শারজার সেই ঐতিহাসিক মাঠেই এ দিন আছড়ে পড়ল সঞ্জু স্যামসনের ঝড়। ছেলেটার ভাগ্য সত্যি খারাপ বলতে হয়। প্রত্যেক বার আইপিএলে নজর কাড়েন তিনি। কিন্তু ভারতীয় দলে তাঁকে নিয়ে কারও বিশেষ উৎসাহ থাকে না। আবার ভারতীয় দলে সুযোগ পেলেও সেটা সদ্ব্যবহার করতেও পারেন না তিনি। এ দিন অবশ্য শুরু থেকেই শারজা স্টেডিয়াম জুড়ে একটাই নাম। স্যামসন। ফাঁকা গ্যালারির বিভিন্ন প্রান্তে এ দিন বল পাঠিয়েছেন তিনি। ৭৪ রানের ইনিংস তিনি খেলেছেন মাত্র ৩২টা বলে। সব থেকে চমকপ্রদ ব্যাপার হল এই ইনিংসে ৯টা ছয় মেরেছেন তিনি। চার মেরেছেন মাত্র একটা।
https://twitter.com/rajasthanroyals/status/1308466118273593352?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1308466118273593352%7Ctwgr%5Eshare_3&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.sangbadpratidin.in%2Fsports%2Fcricket%2Fipl-13-rr-beats-csk-in-a-highvoltage-match%2F
রানের পাহাড় মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চেন্নাইয়ের ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামে। তবে ফাইভ ডাউনে নেমে লড়াইটা জমিয়ে দিয়েছিলেন ধোনি (MS Dhoni)। সঙ্গী ফ্যাফ ডু প্লেসিস। ক্যাপ্টেন কুল তাঁর কানে কী মন্ত্র দিয়েছিলেন, জানা নেই, তবে সেই পেপ-টকেই যেন তেতে উঠছিলেন ডু প্লেসিস। আর হাঁকাচ্ছিলেন একের পর এক ছক্কা। তবে তাঁর মারকাটারি ইনিংসে ব্রেক কষে দিলেন আর্চার। ৩৭ বলে ৭২ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। বুড়ো হাড়ে ভেলকি দেখালেন ধোনি নিজেও। শেষ ওভারে পরপর তিনটে ছক্কা হাঁকিয়ে ২৯ রানে অপরাজিত রইলেন। তবে যে দলই জিতুক, এদিন ছক্কার রেকর্ডের সাক্ষী হলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। রাজস্থান (১৭) ও চেন্নাই (১৬) মিলিয়ে ৩৩টি ওভার বাউন্ডারি হল। যা এক ম্যাচে আইপিএলের ইতিহাসে নয়া নজির।
ইনিংসের শেষ ওভারে মিনি ধোনি ধামাকা দেখা যায় এ দিন। স্টেডিয়ামের বাইরে বলকে বেশ কয়েক বার পাঠিয়ে ধোনি বুঝিয়ে দিলেন এই আইপিএলে তিনি জ্বলে উঠবেনই। যদিও চেন্নাইয়ের আস্কিং রেট ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছিল। সেই রেটের সঙ্গে পাল্লা দিতে দিতেই পরাজয় স্বীকার করে দেয় ধোনিবাহিনী।
আরও পড়ুন: মাহি ওয়ে! বাইসেপ, দাঁড়ির নয়া স্টাইল – অবসরের পর যেন আরও হ্যান্ডসাম ধোনি