এবারের আইপিএলের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে হাই স্কোরিং ম্যাচ হল রাজস্থান রয়্যালস বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচে। । স্টিভ স্মিথের রাজস্থান বনাম ধোনির চেন্নাইয়ের মধ্যের এই লড়াইয়ে একের পর এক বল গিয়ে পড়ল স্ট্যান্ডে। চার আর ছয়ের যেন সুনামি আছড়ে পড়ল মাঠে।
প্রথম ইনিংসে সন্জ্ঞু এবং স্মিথের ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে রাজস্থান করে ২১৬ রান। চেন্নাই সেই রান তাড়া করে যথেষ্ট ভাল লড়াই করে। ফাফ ডুপ্লেসি প্রায় একাই ম্যাচ বের করে দিয়েছিলেন। কিন্তু অপরদিকে তাকে সহায়তা করার মতন কেউ না থাকায় টার্গেট থেকে ১৬ রান দূরে ২০০ রানেই শেষ হয়ে গেল তাদের ইনিংস। ম্যাচে ঘটল একের পর এক উত্তেজনাময় ঘটনা। কখন ও তৈরি হয়েছে রেকর্ড। কখন ও মাথা চাড়া দিয়েছে বিতর্ক।
আইপিএলের একটি ম্যাচে দলগত সর্বাধিক ছয় মারা দলের লিস্টে এই ম্যাচ উঠে এসেছে চতুর্থ স্থানে। প্রথমে রয়েছে আরসিবি (২১) বনাম পুনে ওয়ারিয়র্স(২০১৩),২য় স্থানে আছে ব্যাঙ্গালোর (২০) বনাম গুজরাট লায়ন্স (২০১৬),৩য় স্থানে আছে ব্যাঙ্গালোর (১৮) বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব(২০১৫)।
আরও পড়ুন: RR vs CSK: রাজস্থানের রানের পাহাড়ে চাপা পড়ল চেন্নাই, ধোনির মন্থর গতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
এছাড়া দলগতভাবে একটি ম্যাচে দুটি দল এই ম্যাচে ৩৩ বার ওভার বাউন্ডারি মেরেছে। যা আইপিএলের ইতিহাসে যুগ্ম রেকর্ড। প্রসঙ্গত এই ম্যাচের মতন অন্য ম্যাচটির ও অপর দলটি ছিল চেন্নাই। ২০১৮ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে ও সেই ম্যাচে দুই দল মোট ৩৩ বার ওভার বাউন্ডারি মেরেছিল। এদিন স্যামসন মারেন নয়টি ছক্কা ৭২ রানের ইনিংসে।
বল হাতে এখনও সুযোগ আসেনি। তার আগে ব্যাট হাতে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মরু শহরে ঝড় তুললেন জোফ্রা আর্চার। রাজস্থান রয়্যালস ইনিংসের শেষ ওভারে প্রথম দু’বলে ২৭ রান তুললেন ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার। শেষ পর্যন্ত ২০ তম ওভারে ৩০ রান তুলল রাজস্থান।
কীভাবে ২০ তম ওভারের প্রথম ২ বলে ২৭ রান হল?
প্রথম বল : দুর্ধর্ষ শট। লং-অফের উপর দিয়ে ছয় মারেন আর্চার।
দ্বিতীয় বল : আরও বড় ছক্কা। এনগিডির শর্ট বলে পুল মারেন আর্চার। স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে বল কার্যত ভারতেই পাঠিয়ে দেন।
তৃতীয় বল (বৈধ নয়) : ছক্কার হ্যাটট্রিক। লং-অনের উপর দিয়ে এনগিডিকে বাউন্ডারির বাইরে ফেলে দেন আর্চার। প্রথম তিন বলের পরিস্থিতি কতটা খারাপ হতে পারে? তার প্রমাণ মেলে। নো-বল করেন এনগিডি। ফ্রি-হিট রাজস্থানের। অর্থাৎ মোট সাত রান যোগ হল।
তৃতীয় বল (বৈধ নয়) : ফের লং-অফের উপর দিয়ে ছয় মারলেন আর্চার। এবারও ক্রিজের বাইরে পা এনগিডি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারের জন্য শেষ ওভার আরও বিভীষিকা হয়ে উঠছে। অর্থাৎ মোট সাত রান যোগ হল।
তৃতীয় বল (বৈধ নয়) : ওয়াইড। পরের বলও ফ্রি-হিট থাকবে। এক রান। অর্থাৎ প্রথম দু’বলে ২৭ রান যোগ হল।
তৃতীয় বল : কোনও রান নয়। বৈধ বল। অবশেষে গাঁট পেরোলেন এনগিডি।
আরও পড়ুন: IPL 2020: প্রথম ম্যাচের দর্শক সংখ্যা গড়ল বিশ্বরেকর্ড, হার মানল ফুটবল বিশ্বকাপও