মাঠের বাইরের বিতর্ক সরিয়ে জয়ের সরণিতে ফিরল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। সৌজন্যে ডেভিড মিলারের অনবদ্য ফিনিশ। শেষ ওভারে লাহিরু কুমারাকে জোড়া ছক্কা মেরে প্রোটিয়াদের ৪ উইকেটে জিতিয়ে দিলেন তিনি। জয়ের ফলে সেমিফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রাখল প্রোটিয়ারা। আপাতত ৩ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট।
অনেক বছর বাদে ‘কিলার’ মিলারকে দেখল ক্রিকেটদুনিয়া। বাঁ-হাতি প্রোটিয়া ব্যাটার ক্রিজে নামলেই একটা সময় আতঙ্কে থাকতেন বোলাররা। অনেক দিন সেই ডেভিড মিলারের তাণ্ডব দেখেনি ক্রিকেটদুনিয়া। আজ যাবতীয় হিসেব নিকেষ চুকিয়ে দিলেন কিলার মিলার। শ্রীলঙ্কার স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার হ্যাটট্রিক ম্লান হয়ে গেল মিলার ঝড়ে।
টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুতেই কুশল পেরেরার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কাকে। পেরেরাকে ব্যক্তিগত ৭ রানে বোল্ড আউট করেন নর্টজে। ২১ রানের মাথায় রান আউট হন আসালাঙ্কা। রাজাপাকসা আর আবিষ্কা ফার্নান্ডোকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তাবারেজ শামসি। দু’জনেই আউট হন শূন্য রানে। তবে লঙ্কাবাহিনীকে একা কাঁধে টানেন ওপেনার নিশাঙ্ক। হাসারাঙ্গা, শনকারা পরপর ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। অন্যদিকে স্কোরবোর্ডকে লড়াকু নিয়ে জায়গায় নিয়ে যান নিশাঙ্ক। ৫৮ বলে ৭২ রান করেন তিনি। ইনিংসে সাজানো ৩টে ছয় আর ৬টা চার। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন ডোয়েইন প্রিটোরিয়াস আর তাবারেজ শামসি। ২টো উইকেট সংগ্রহ করেন নর্টজে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪২ রান করে শ্রীলঙ্কা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। প অর্ডারে অধিনায়ক বাভুমার ৪৬ রান ছাড়া আর সেভাবে উল্লেখযোগ্য ইনিংস কেউই খেলেননি। একটা সময় ১১২ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দু’ ওভারে প্রটিয়াদের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। শেষ ওভারে জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ পকেটে পুরে নেন মিলার। ১৩ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে শ্রীলঙ্কা হারলেও অনবদ্য হ্যাটট্রিক করে নজর কাড়লেন হাসারঙ্কা। এটিই চলতি বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক।
দুই ম্যাচে একটি জয়, একটি হার। একইরকম অবস্থায় থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে দুই দলের কাছেই এটি ছিল কার্যত মরণ-বাঁচন ম্যাচ। এই ম্যাচে জয়ের ফলে প্রোটিয়া বাহিনী এখনও ভালমতোই সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে রইল। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপের (T20 World Cup) সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা কার্যত শেষ।