জঘন্য ফিল্ডিং, একের পর এক ক্যাচ মিস এবং সেই সঙ্গে নিম্নমানের বোলিং। টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার-১২ পর্বের প্রথম ম্যাচেই সমর্থকদের একরাশ হতাশা উপহার দিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। গ্রুপের সবচেয়ে দুর্বল দলগুলির মধ্যে অন্যতম শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরুদ্ধেও মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলা টাইগাররা। লঙ্কাবাহিনী ম্যাচ জিতল ৫ উইকেটে।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার মহম্মদ নইম ও লিটন দাস। পাওয়ার প্লেতে শ্রীলঙ্কার বোলারদের ধরে খেলছিলেন তাঁরা। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে ছন্দপতন। এগিয়ে এসে লাহিরু কুমারার বলে মিড অফের উপর দিয়ে চার মারতে গিয়ে আউট হন লিটন। তার পরেই লাহিরুর সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান লিটন। তিনে নামা শাকিবও তাড়াতাড়ি সাজঘরে ফেরেন।
দু’উইকেট পড়ার পরে বাংলাদেশের ইনিংস সামলান নইম ও চারে নামা অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। মাঝেমধ্যেই বড় শট খেলছিলেন তাঁরা। ফলে দ্রুত রান উঠছিল। যথেষ্ট সাবলীল দেখাল তরুণ নইমকে। নিজের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচেই অর্ধশতরান করলেন তিনি। অন্য দিতে হাত খোলা শুরু করেন রহিমও।
ব্যক্তিগত ৬২ রানের মাথায় বিনুরা ফার্নান্ডোর বলে আউট হন নইম। তার পরে প্রথমে আফিফ হুসেন ও পরে অধিনায়ক মাহমুদুল্লার সঙ্গে জুটি বাঁধেন রহিম। মাত্র ৩২ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। শেষ বলে চার মেরে দলের রান চার উইকেটে ১৭১ পর্যন্ত নিয়ে যান রহিম। ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
১৭২ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি শ্রীলঙ্কার। একটা সময় ৭৯ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল লঙ্কা বাহিনী। কিন্তু তখনই ইনিংসের হাল ধরেন আসালঙ্কা (Asalanka) এবং রাজাপাক্ষা। বাংলাদেশের বোলারদের পালটা আক্রমণ শানান তাঁরা। ৩১ বলে ৫৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন রাজাপাক্ষা। তবে দিনের সেরা ইনিংসটি খেলেন চরিত আসালাঙ্কা। ৪৯ বলে ৮০ রান করে শ্রীলঙ্কাকে জিতিয়ে দেন তিনি। দুই ব্যাটসম্যানকেই আউট করার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ওপার বাংলার ফিল্ডাররা হাতের ক্যাচ ফেলেই ম্যাচটি মাঠে ফেলে এলেন।