ভারতের সর্বকালের সেরা অলিম্পিক্স অভিযান হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইল টোকিও ২০২০। স্বাভাবিকভাবেই টোকিও স্মরণীয় হয়ে থাকল ভারতের ক্রীড়া ইতিহাসে। এবার টোকিও থেকে ১টি সোনা, ২টি রুপো ও ৪টি ব্রোঞ্জ-সহ মোট ৭টি পদক জেতে ভারত। সংখ্যার নিরিখে তো বটেই, এমনকি গুরুত্বের নিরিখেও টোকিও ভারতের অলিম্পিক্স ইতিহাসে উজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকল।
পদক সংখ্যার নিরিখে ভারতের সেরা পাঁচ অলিম্পিক্স অভিযান:-
১. টোকিও ২০২০- ৭টি (১টি সোনা, ২টি রুপো ও ৪টি ব্রোঞ্জ)।
২. লন্ডন ২০১২- ৬টি (২টি রুপো ও ৪টি ব্রোঞ্জ)।
৩. বেজিং ২০০৮- ৩টি (১টি সোনা ও ২টি ব্রোঞ্জ)।
৪. হেলসিঙ্কি ১৯৫২- ২টি (১টি সোনা ও ১টি ব্রোঞ্জ)।
৫. রিও ২০১৬- ২টি (১টি রুপো ও ১টি ব্রোঞ্জ)
টোকিওয় প্রথমবার ভারত ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড থেকে সোনা জেতে। নীরজ চোপড়া দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জেতেন। অভিনব বিন্দ্রা বেজিং অলিম্পিক্সে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জয়ের নজির গড়েছিলেন। তাছাড়া ভারত দীর্ঘ ৪১ বছর পর অলিম্পিক্স হকিতে কোনও পদক জিততে সক্ষম হয়। একদা অলিম্পিক্স হকিতে দাপিয়ে বেড়ানো ভারত হৃত সম্মান পুনরুদ্ধার করে টোকিওয়।
টোকিওয় ভারতের পদক জয়ীরা:-
১. নীরজ চোপড়া ছেলেদের জ্যাভেলিন থ্রোয়ে সোনা জেতেন।
২. ছেলেদের ফ্রি-স্টাইল কুস্তিক ৫৭ কেজি বিভাগে রুপো জেতেন রবি কুমার দাহিয়া।
৩. মীরাবাঈ চানু ভারোত্তলনে মেয়েদের ৪৯ কেজি বিভাগে রুপো জেতেন।
৪. ভারতীয় হকি দল ছেলেদের বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক জেতে।
৫. ব্যাডমিন্টনের ওমেনস সিঙ্গলসে ব্রোঞ্জ জেতেন পিভি সিন্ধু।
৬. ছেলেদের ফ্রি-স্টাইল কুস্তির ৬৫ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ জেতেন বজরং পুনিয়া।
৭. মেয়েদের বক্সিংয়ের ওয়েল্টারওয়েট (৬৪-৬৯ কেজি) বিভাগে ব্রোঞ্জ জেতেন লভলিনা বড়গোহাঁই।
আরও পড়ুন: breaking : ভারতের প্রথম সোনা, ইতিহাস গড়লেন নীরজ চোপড়া, গড়লেন একাধিক রেকর্ড
দুর্দান্ত দুই থ্রোয়ে সোনার খরা কাটিয়ে দিলেন নীরজ চোপড়া। অলিম্পিক্সের ইতিহাসে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের কোনও ইভেন্টে পদক জিতলেন। তা-ও একেবারে সোনা জিতে নিলেন তিনি। শনিবার ফাইনালে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ৮৭.৫৮ মিটার ছুড়ে পদক জিতলেন তিনি। এর আগে অ্যাথলেটিক্সে ভারত সোনা তো দূর, কোনও পদকই জেতেনি। সেই আক্ষেপ মিটিয়ে দিলেন নীরজ।
শনিবার জ্যাভলিনের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন নীরজ। প্রথম প্রচেষ্টায় ৮৭.০৩ মিটার ছুড়ে বাকিদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে যান। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় দূরত্ব আরও বাড়িয়ে নেন তিনি। এ বার ছোড়েন ৮৭.৫৮ মিটার। হাত থেকে জ্যাভলিন বেরনো মাত্রই পিছনের গ্যালারির দিকে তাকিয়ে দু’হাত তুলে উল্লাস করতে থাকেন নীরজ। সেখানে বসেছিলেন তাঁর কোচ উয়ে হন এবং ভারতীয় দলের আধিকারিকরা।
শনিবার জ্যাভলিনের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন নীরজ। প্রথম প্রচেষ্টায় ৮৭.০৩ মিটার ছুড়ে বাকিদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে যান। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় দূরত্ব আরও বাড়িয়ে নেন তিনি। এ বার ছোড়েন ৮৭.৫৮ মিটার। হাত থেকে জ্যাভলিন বেরনো মাত্রই পিছনের গ্যালারির দিকে তাকিয়ে দু’হাত তুলে উল্লাস করতে থাকেন নীরজ। সেখানে বসেছিলেন তাঁর কোচ উয়ে হন এবং ভারতীয় দলের আধিকারিকরা।