এক বুক স্বপ্ন নিয়ে উড়ে গিয়েছিলেন টোকিও। ভেবেছিলেন, পদক জিততে না পারলেও অন্তত অনেক দূর পৌঁছবেন। কিন্তু প্রাথমিক রাউন্ডেই স্বপ্নভঙ্গ হল বাংলার জিমন্যাস্ট প্রণতি নায়েকের (Pranati Nayak)। যোগ্যতা অর্জনের রাউন্ডে দুর্দান্ত লড়াই করেও দ্বাদশ স্থানে শেষ করায় এবারের মতো অলিম্পিক সফর শেষ হল তাঁর।
রবিবার সকালে মহিলাদের আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সের যোগ্যতা অর্জন পর্বে নেমেছিলেন প্রণতি। সেখানে অলরাউন্ড পর্বে তাঁর স্কোর ৪২.৫৬৫। এর মধ্যে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পেয়েছেন ভল্টে (১৩.৪৬৬)। এ ছাড়া ফ্লোরে ১০.৬৩৩, আনইভেন বারে ৯.০৩৩ এবং ব্যালান্স বিমে ৯.৪৩৩ পয়েন্ট পেয়েছেন তিনি।
মেদিনীপুরের পিংলার এই মেয়ে অতিমারির সময়ে কার্যত কোনও অনুশীলনই করতে পারেননি। নিজেকে ফিট রাখার জন্য বিভিন্ন কসরত করেছেন ঠিকই, কিন্তু জিমন্যাস্টিক্সে উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় যে প্রশিক্ষণ সেটাই পাননি তিনি।
আরও পড়ুন: TOKYO OLYMPICS 2020: র্যাঙ্কিং রাউন্ডে প্রথম দশে দীপিকা কুমারী, ৩৫ নম্বরে অতনু দাস
মে মাসে আচমকাই মহাদেশীয় কোটায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রণতির কাছে অলিম্পিক্সের টিকিট চলে আসে। তারপর থেকে কোচ লখন শর্মার অধীনে অনুশীলন করতে থাকেন। কিন্তু অলিম্পিক্স দোরগোড়ায় থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ অনুশীলন থেকে বিরত ছিলেন তাঁরা।
মেয়ে প্রাথমিক রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়ায় বাবা-মায়ের খানিকটা মন খারাপ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু বেশি আক্ষেপ নিশ্চিন্তে মেয়ের খেলা দেখতে না পারায়। পিংলার করকাই গ্ৰামে প্রণতির বাড়িতে সকাল থেকেই প্রতিবেশী ও প্রিয়জনদের ভিড় লেগে যায়। সকলের নজর ছিল টিভির পর্দায়। প্রণতির বাবা বলছিলেন, “খারাপ একটু লাগছে ঠিকই। পরের রাউন্ডে উঠতে পারলে আরও ভাল লাগত। কিন্তু হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। এতো সবে শুরু। জীবনে ও আরও অনেক সুযোগ পাবে।” পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াই অলিম্পিকের মঞ্চে পৌঁছনোও কি মুখের কথা!
আরও পড়ুন: Tokyo Olympics: ২৮ মিনিটের মধ্যে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে টোকিও অলিম্পিক্সে সিন্ধু গর্জন