চলতি আইপিএলে প্লে-অফে যাওয়ার আগে আর মাত্র সাতটা ম্যাচ খেলা হবে। শেষ চারে এখনও পর্যন্ত মুম্বই ইন্ডিয়ান্স নাম লেখাতে পেরেছে। যত দিন এগোচ্ছে বাকি তিনটে জায়গায় কে কে নাম লেখাবেন, তা নিয়ে যথেষ্ট রোমাঞ্চ তৈরি হচ্ছে। তবে গতকাল চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে যাওয়ার পর কলকাতার প্লে অফে যাওয়ার সম্ভাবনা রীতিমতো ক্ষীণ হয়ে গেছে। টুর্নামেন্ট থেকে ইতিমধ্যেই ছিটকে গেছে চেন্নাই। ফলে বাকি তিনটে জায়গার জন্য ছ’টা দল লড়াই করে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, হাতে মাত্র ১টি ম্যাচ পড়ে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। হিসেবে বলছে কেকেআরের সামনে এখনও খোলা রয়েছে আইপিএল ২০২০-র প্লে-অফের দরজা। কীভাবে পৌঁছনো যাবে টুর্নামেন্টের শেষ চারে, দেখে নেওয়া যাক হিসাব।
১. রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট) ও দিল্লি ক্যাপিটালস (১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট), দু’দলকে ছোঁয়ার সুযোগ থাকলেও টপকাতে পারবে না কেকেআর।
২. কলকাতার সংগ্রহে রয়েছে ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। রাজস্থানের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ জিতলে কলকাতা পৌঁছবে ১৪ পয়েন্টে। সুতরাং প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখতে কলকাতাকে শেষ ম্যাচ জিততেই হবে।
আরও পড়ুন: ISL : ঘোষিত হল সূচি, কবে মাঠে নামছে ইস্টবেঙ্গল-এটিকে মোহনবাগান?
৩. কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের সংগ্রহে রয়েছে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। সুতরং পঞ্জাব শেষ দু’টি ম্যাচ হারলে তারা দাঁড়িয়ে থাকবে ১২ পয়েন্টেই। পঞ্জাবের ম্যাচ বাকি রয়েছে চেন্নাই ও রাজস্থানের বিরুদ্ধে। পঞ্জাব একটি ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ১৪। সেক্ষেত্রে কলকাতাকে শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিততে হবে। পঞ্জাব দু’টি ম্যাচ জিতলে কলকাতাকে তাকিয়ে থাকতে হবে দিল্লির অথবা আরসিবির বড় ব্যবধানে ২টি ম্যাচ হারার দিকে।
৪. সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পকেটে রয়েছে ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। তাদের ম্যাচ বাকি আরসিবি ও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। কলকাতার প্লে-অফে যেতে সানরাইজার্সকে একটি ম্যাচ হারতেই হবে। কেননা তাদের নেট রানরেট কলকাতার তুলনায় ভালো।
সব মিলিয়ে কলকাতা শেষ ম্যাচে জিতলে, পঞ্জাব শেষ ২টি ম্যাচে হারলে এবং সানরাইজার্স অন্তত ১টি ম্যাচে হারলে নাইটরা পৌঁছে যাবে প্লে-অফে। পঞ্জাব একটি ম্যাচ জিতলে এবং সানরাইজার্স শেষ ২টি ম্যাচ জিতলে প্লে-অফের চতুর্থ দল নির্নয়ের ক্ষেত্রে নেট রানরেট বিবেচ্য হয়ে দাঁড়াবে।
আরও পড়ুন: CSK vs KKR: নাইটদের মুখের গ্রাস কাড়লেন জাদেজা, হেরে প্লে অফের রাস্তা কঠিন করে ফেলল কলকাতা