একটি দল গতবারের চ্যাম্পিয়ন। সরাসরি সুপার ১২ থেকে শুরু করেছে বিশ্বকাপ অভিযান। অন্য দলটি কোয়ালিফায়ারের লড়াই জিতে পা রেখেছে মূল পর্বে। কিন্তু সুপার ১২ শুরু হওয়া ইস্তক দুই দলেরই পারফরম্যান্স হতাশাজনক। প্রথমটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দ্বিতীয়টি বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার শারজার বাইশ গজে মুখোমুখি হয় সেই দুই দল। প্রথম দু’টি ম্যাচে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পর অবশেষে জ্বলে উঠল পোলার্ড অ্যান্ড কং। কাজে দিল না লিটন দাস ও মাহমুদুল্লার দাঁতে দাঁত চাপা লড়াই। আর সেই সঙ্গে শেষ চারে পৌঁছনোর আশা শেষ হল শাকিব আল হাসানদের।
শুক্রবার টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদুল্লাহ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কম রানে আটকে রাখাই ছিল মূল লক্ষ্য। ক্যারিবিয়ান দলের হয়ে ক্রিস গেল (৪) এবং এভিন লুইস (৬) ওপেন করতে নেমেছিলেন। দু’জনকেই কম রানে ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে হাল ধরেন রস্টন চেজ। ৪৬ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। টি২০ ক্রিকেটের হিসেবে এই ইনিংস মন্থর হলেও দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
শেষ বেলায় দলকে ১৪২ রানে নিয়ে গেলেন নিকোলাস পুরান। ২২ বলে ৪০ রান করেন তিনি। চারটি ছয় এবং একটি চার মারেন পুরান। দলে যোগ দিয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা জেসন হোল্ডারও ৫ বলে ১৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে যান।
বাংলাদেশের হয়ে শুক্রবার ওপেন করতে নামেন শাকিব আল হাসান এবং মহম্মদ নইম। মাত্র ৯ রান করে আউট হয়ে যান শাকিব। নইম ফেরেন ১৯ বলে ১৭ রান করে। দুই ওপেনার ব্যর্থ হতে দলের হাল ধরেন লিটন দাস এবং সৌম্য সরকার। ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ৪৩ বলে ৪৪ রান করেন লিটন। ১৩ বলে ১৭ রান করেন সৌম্য।
শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৩ রান। বল করতে আসেন রাসেল। সেই ওভারে মাত্র ৯ রান দেন কলকাতার অলরাউন্ডার। ৩ রানে ম্যাচ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের হয়ে শেষ চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। ২৪ বলে ৩১ রান করেন তিনি। তবু দেশকে জেতাতে পারলেন না তিনি।