বিসর্জনের সন্ধ্যায়, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা এলাকার ডুমনিদহ বিলে প্রতিমার সঙ্গে তলিয়ে গেলেন পাঁচ ভাসান-যাত্রী। এই ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশিত পুজো এবং ভাসান সংক্রান্ত বিধিনিষেধ যে মানা হয়নি, তা মেনে নিয়েছে জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন ‘‘ঘটনাটি সন্ধ্যার দিকে ঘটায় উদ্ধারকাজে অসুবিধা হয়েছে। পুলিশ এখনও বিল জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। ওই নৌকায় বিধি না-মেনে এত জনের ওঠা উচিত হয়নি।’’
সোমবার বিকেলে বেলডাঙার ডুমনিদহ বিলে হাজরা বাড়ির দুর্গা প্রতিমার নিরঞ্জন চলছিল। প্রথা মাফিক সর্বপ্রথম হাজরা বাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। তারপর বেলডাঙার অন্যান্য পুজোর প্রতিমার নিরঞ্জন চলে। এবারও সেই প্রথা মেনে সন্ধ্যা ৬.৩০ নাগাদ বিলের মাঝামাঝি দুটি নৌকা থেকে হাজরাবাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জন করা হচ্ছিল। সেই সময় একটি নৌকা একদিকে হেলে যায়। নৌকায় যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সবাই জলে পড়ে যান। তার জেরে অপর নৌকাটিও উলটে যায়। সেই নৌকার যাত্রীরাও বিলের জলে পড়ে যান।
আরও পড়ুন: মাস্ক নেই কুমারী মায়ের মুখে, সমালোচনার মুখে পরে ‘আধ্যাত্মিক’ যুক্তি বেলুড় মঠের
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুটি নৌকায় প্রায় ৩৫ জন ছিলেন। নৌকোর ভারবহন ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি আরোহী ভিড় করেছিলেন। নিরঞ্জনের সময় মানা হয়নি হয়নি প্রয়োজনীয় সামাজিক দূরত্ববিধিও। বিলের তীরেও উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষ।নৌকো উলটে গেলে তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই সাঁতার কেটে বিলের পাড়ে চলে আসেন। কিন্তু কয়েকজনের খোঁজ মেলে না। তাঁদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। পরে রাতের দিকে পাঁচজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দেহ পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, নিরঞ্জনের সময় কোনওভাবে দুটি নৌকার ভারসাম্য হারিয়ে যায়। তার জেরে দুটি নৌকাই উলটে যায়। সম্ভবত প্রতিমার কাঠামোর নীচে চাপা পড়ে ওই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মৃতদের নাম রোহন পাল (২৩), অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় (২৩), রুবাই হাজরা বন্দ্যোপাধ্যায় (২০), সুখেন্দু দে (২১) এবং মোহর হাজরা বন্দ্যোপাধ্যায় (৩৪)।
আরও পড়ুন: ‘নিজেকে বিজেপির থেকে সুরক্ষিত চিহ্নিত করুন’,সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়া কৌশল তৃণমূলের