রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত চার ব্যক্তিকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারল এক দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের জামুরিয়া থানার অন্তর্গত শিবপুরে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সাধু মাঝি। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ আসতেই জমায়েত করেন স্থানীয়রা। দেহ উদ্ধারের সময় হামলাবাজ সাধু ফিরে এসে ফের লাঠি চালায় জনতার ভিড়ে। সেই সময় লাঠির আঘাতে স্থানীয় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। এরপরই জনতা কোনক্রমে হামলাবাজ সাধু মাঝিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মৃতদের মধ্যে ৩ জন শিবপুরে লাইসেন্সপ্রাপ্ত দেশি মদের দোকানে কাজ করতেন। রাতে সেখানেই ঘুমোতেন তাঁরা। তাঁদের সকলেরই বয়স ৪০-৪৫ বছর।
আরও পড়ুন: কালো পতাকা, গো ব্যাক স্লোগান! দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলা
কেন এরকম নৃশংসা হামলা চালাল সাধু? দিন দুয়েক আগে ওই মদ দোকানে মদ্যপ অবস্থায় সাধু মাঝি অশান্তি পাকায়। মদ দোকানের মালিককে মারধর করে হাত ভেঙে দেয় তার। সেই ঘটনার অভিযোগে প্রেক্ষিতে পুলিশ সাধুকে গ্রেপ্তার করেছিল। গতকাল পুলিশি হেফাজত থেকে জামিনে মুক্ত হয়েই প্রতিহিংসা নিতে সে এই ঘটনা ঘটায়। জানা গিয়েছে, বদমেজাজি স্বভাবের জন্য পরিবারের লোকজন সাধুর সঙ্গে থাকেন না। অতীতে নিজের মায়ের পেটে শাবল চালিয়ে দিয়েছিল সাধু মাঝি।
বছর দু’য়েক আগে জামুড়িয়ার এক ইটভাটায় মহিলা গণধর্ষণের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল তার। প্রমাণের অভাবে কড়া শাস্তির মুখে এতদিন পড়েনি সে। বদমেজাজি ও মানসিক বিকারগ্রস্ত সাধুর আচরণে আতঙ্কিত ছিলেন শিবপুরের বাসিন্দারা। তবে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের ঘটনায় জামুড়িয়াবাসী দাবি তুলেছেন সাধু মাঝির যেন এবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
আরও পড়ুন: বিধায়ক পদ থেকে আচমকা পদত্যাগপত্র দিতেই তৃণমূল ভবনে ডাক পড়ল বেচারাম মান্নার