তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত ক্যানিং, গুলিবিদ্ধ ৫

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের উত্তপ্ত ক্যানিং। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত হয়েছেন মোট আট জন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহতদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে এলাকা।

পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে মদ খেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) ক্যানিং থানার ইটখোলা গোলাবাড়ি এলাকায় বোমাবাজি শুরু করে একদল দুষ্কৃতী। তা নিয়ে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে বলে অভিযোগ। তাতেই আহত হন তিনজন। সেই সংঘর্ষের সময়ই গুলিবিদ্ধ হন পাঁচজন। গুলিবিদ্ধ ওই পাঁচজন যুব তৃণমূলের কর্মী বলে দাবি করা হয়েছে যুব সংগঠনের তরফে। এ বিষয়ে যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ইন্দ্রজিৎ সর্দার বলেন, “মদ খেয়ে এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতী আমাদের যুব তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ শুরু করে। কর্মীরা তার প্রতিবাদ করলে এলোপাথারি গুলি চালানো হয়। আহত হন পাঁচ কর্মী।”

সংঘর্ষ চলাকালীন গুলি চলে বলে অভিযোগ। তাতে ৫ জন যুব তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যুব তৃণমূলের দাবি, মাদার তৃণমূলের নেতা খাতিব সরদারের নেতৃত্বে হামলা হয়। এলাকায় মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। যুব তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে তাদের আক্রমণ করা হয়। হামলার দায় অস্বীকার করে খাতিব সরদার জানিয়েছেন, এলাকার একটি বাজারের দখল নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তাঁর পালটা দাবি, আক্রান্তদেরই ধরে ধরে কেস দিচ্ছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: করোনা গ্রাসে কলকাতার সহকারী পুলিশ কমিশনার, এই নিয়ে শহরে প্রাণ গেল ৯ পুলিশকর্মীর

ঘটনার খবর পেয়ে গোলাবাড়িতে পৌঁছয় ক্যানিং থানার বাহিনী। পরে বারুইপুর জেলা পুলিশের আরও বাহিনী পৌঁছয় সেখানে। কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, ‘দোষীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছি।’

ক্যানিং-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ নিত্যদিনের ঘটনা। জেলাজুড়ে কার্যত তৃণমূলের সমান্তরাল ২টি সংগঠন চলে। মাঝেমাঝেই মুখোমুখি হয়ে যায় ২ পক্ষ। তার জেরেই ঝরে রক্ত। এই সমস্যার সমাধানে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব একাধিক পদক্ষেপ করলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।

আরও পড়ুন: নিম্নচাপের সঙ্গে অমাবস্যার ভরা কোটাল, দিঘায় ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস, ভাসল রাস্তাঘাটও!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest