সোশ্যাল সাইটে বিকৃত গোপন ছবি, লজ্জায় আত্মঘাতী কিশোরী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে পড়ায় আত্মঘাতী হলেন এক ছাত্রী। উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর পরিজনদের অভিযোগ, দিন কয়েক আগে ঘটনাটি জানা গেলে জগদ্দল থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন ছাত্রীটি। কিন্তু অভিযোগ গ্রহণ করেনি পুলিশ। এর পরই লোকলজ্জার ভয়ে সোমবার সকালে আত্মহত্যা করে সে।

মৃত কিশোরী গারুলিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে তার ছবি সুপার ইমপোজ করে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ওই ঘটনা জানাজানি হতেই চরম অস্বস্তিতে পড়ে কিশোরী। এ নিয়ে গত ৮ অক্টোবর জগদ্দল থানায় অভিযোগও জানান ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পুলিশ তাতে কান দেয়নি বলে অভিযোগ তার আত্মীয় পরিজনদের। তাদের দাবি, শেষ পর্যন্ত অপমানে আত্মহত্যা করে ওই ছাত্রী। এ দিন তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

আরও পড়ুন: বাড়িতে আড়ম্বরহীন শ্যামাপুজো মুখ্যমন্ত্রীর, সামিল অভিষেক-সহ পরিবারের সকলেই

অস্বাভাবিক মৃত্যুর এই খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তায় দেহ রেখে শুরু হয় বিক্ষোভ। তাঁরা তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকের শাস্তির দাবিও তোলেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে যথাযথ তদন্তের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা বাপি ওরাঁও বলেন, ‘‘ওই কিশোরী ভাল মেয়ে ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করা হচ্ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওর ছবি সুপার ইমপোজ করে পোস্ট করা হয়েছিল। পুলিশকে সব জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কোনও গুরুত্ব দেয়নি। শেষ পর্যন্ত লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে মেয়েটা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হল। অপরাধী তো দোষী বটেই। পুলিশও এই ঘটনার জন্য সমান ভাবে দায়ী। ওরা একটু সক্রিয় হলেই মেয়েটাকে বাঁচানো যেত।’’

আরও পড়ুন: ‘রস্টার’ মেনে বক্তব্য জানাবেন নেতারা, নির্বাচনের আগে ‘দায়িত্ব’ ভাগ করে দিল ‘সাবধানী’ তৃণমূল

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest