কপাল! ৩০ টাকার লটারি কেটে কোটি টাকা জিতলেন ভাতারের এই দিনমজুর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের দিনমজুরের কোটিপতি হওয়ার গল্প এখন জেলার বাসিন্দাদের মুখে মুখে ফিরছে। ছেলের কাছে সামান্য টাকা ধার করে লটারি টিকিট কেটেছিলেন। তাতেই তিনি পেয়ে গেলেন প্রথম পুরস্কার বাবদ এক কোটি টাকা। রাতারাতি দিনমজুর থেকে কোটিপতি হয়ে এখন এলাকার আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছেন হরি মাঝি।

শখ করে কাটা লটারিই দিন বদলে দিয়েছে জন্ম ইস্তক মূক এবং বধির হরির। ভাতারের বামোশোর গ্রাম। এখানে ঢলদিঘির পাড়ে বাড়ি হরির। বাড়ি বলতে মাটির দেওয়াল, খড়ের ছাউনি। বর্ষাকালে বৃষ্টি ঘর ভাসিয়ে দেয়। বিধবা মা, স্ত্রী এবং এক ছেলেকে নিয়ে হরির সংসার। পেশায় তিনি মজুর। তাই সংসারের অবস্থাও দিন আনি দিন খাই। বছর আঠেরোর ছেলে সুজন অনেকদিন আগেই পড়াশোনা ছেড়ে জুটেছে বাবার সঙ্গে, মজুরের কাজে। কিন্তু হরির জীবনে দারিদ্র ঘোচে কই!

আরও পড়ুন: ‘ক্ষুব্ধ’ শুভেন্দুকে BJP-তে ‘ স্বাগত’ দিলীপ-মুকুলদের

কিন্তু নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সেই অভ্যাস যে এক লহমায় যে ঘুচে যাবে তা কি কেউ আন্দাজ করতে পেরেছিল! প্রতি দিনের মতো সোমবার সকালে ভাতার বাজারে গিয়েছিলেন হরি। কী মনে হয়েছিল গ্যাঁটের ৩০ টাকা খরচ করে লটারি কেটে বসেছিলেন। যদি ভাগ্য ফেরে। হলও তাই। সকালে যে মানুষটা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মুটেগিরি করছিলেন বিকেলে ফল বেরোতেই দেখা গেল এক কোটি টাকা জিতেছেন তিনি। বামোশোর গ্রামের সেই কোটিপতি হরিকে দেখতে এখন ভিড় জমিয়েছেন অনেকেই।

হরির স্ত্রী পুতুল বলেন, ‘‘স্বামী মাঝে মাঝে লটারির টিকিট কাটতেন জানি। এ দিন ছেলের থেকে ৩০ টাকা চেয়ে নিয়ে সকালে বাজারে গিয়েছিলেন উনি। তা দিয়েই লটারি কাটেন। বিকেলে জানতে পারি ওই লটারিতে এক কোটি টাকা পড়েছে।’’ কথা বলতে না পারলেও, কোটি টাকা জেতার আনন্দ ঠিকরে পড়ছে হরির চোখ মুখ বেয়ে। মা-কে ইশারায় জানিয়ে দিয়েছেন, এ বার পাকা বাড়ি তৈরি করবেন।

আরও পড়ুন: অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লোকাল চালানোর ভাবনা, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ৫ নভেম্বর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest