#কলকাতা: দেশজুড়ে অসহিষ্ণুতা ও গণপিটুনি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন দেশের ৪৯ জন বুদ্ধিজীবী। তাঁদের মধ্যে নাম ছিল নাট্যকার ও অভিনেতা কৌশিক সেনেরও। আর এই চিঠিতে নাম থাকার পরেই নাকি প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ফোন আসছে কৌশিকের কাছে, এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন অভিনেতা।
কৌশিক জানান, বুধবার বিকেল তখন প্রায় সাড়ে চারটে হবে। তিনি নাটকের রিহার্সাল রুমে ছিলেন। সেই সময় ওই ফোনটি আসে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে? এর পর হিন্দুত্ব নিয়ে তাঁকে নানা কথা বলা হয়। কৌশিকের কথায়, ‘‘আমি প্রথমে খুবই ঠান্ডা মাথায় ওই ব্যক্তির কথা শুনছিলাম। প্রয়োজন মতো জবাবও দিচ্ছিলাম। কিন্তু ওই ব্যক্তি একটা সময়ে আমাকে বলেন, মুসলমানরা যখন কিছু করে তখন তো আপনাদের প্রতিবাদ করতে দেখি না। হিন্দুদের কিছু হলে একেবারে মেরে ফেলে দেব আপনাকে। তৃণমূলের টাকা খাচ্ছেন আপনি। আপনার বউ-ছেলেকে এর পর তৃণমূল মেরে ফেলবে, বুঝবেন তখন।’’
এর পরেই বিষয়টি পুলিশে ফোন করে জানান কৌশিক। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল সেটাও পুলিশকে দেন। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তিনি এ বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি পুলিশের কাছে। তিনি বলেন, ‘‘প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি পাওয়ার পর পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। নম্বরটাও দিয়েছি। ওঁরা বলেছেন, দেখছেন বিষয়টি।’’ কিন্তু লিখিত ভাবে অভিযোগ করলেন না কেন? কৌশিকের দাবি, ‘‘পুলিশকে জানিয়েছি। ওঁরা দেখছেন। লিখিত অভিযোগ করার মতো সময় পাইনি এখনও।’’
প্রধানমন্ত্রীকে বিশিষ্টজনেদের চিঠি পাঠানোর পর রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, যাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তাঁরা অ্যান্টি-ন্যাশনাল। ওঁরা বিরোধী দলগুলোর চামচা। বিজেপির বদনাম করতেই এ সব করা হচ্ছে বলে দিলীপবাবুর মত। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, এর পর থেকে ওই সব ব্যক্তিরা যেখানে যাবেন বিজেপি কর্মীদের প্রতিবাদের মুখে পড়তে হবে তাঁদের।