গরুপাচার কাণ্ডে (Cow smuggling case) এবার নজর সিবিআইয়ের। বুধবার দিল্লি, কলকাতা, শিলিগুড়ি, অমৃতসর, ছত্তিশগড়, গাজিয়াবাদ-সহ ১৫টি জায়গায় হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই ঘটনা নিয়েই এবার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। গরুপাচার ইস্যুতে ফেসবুকে রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury)।
বুধবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় অধীরবাবু লিখেছেন, “বাংলার গরু পাচার রাজ্যের পুলিশ ও শাসক দলের মদত ছাড়া হতে পারে না। বিএসএফ লুঠ করেছে বর্ডারে, গরু এসেছে ট্রাক ভর্তি হয়ে জাতীয় ও রাজ্য সড়ক দিয়ে। মানি ব্যাগে ভরে তো গরু পাচার হয়নি! বরং গরু পাচারের টাকা তৃণমূলের নেতার নির্বাচনী তহবিল আর পুলিশের মানি ব্যাগ ভরিয়েছে।”
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে লাগাতার তিনদিন ট্রাক ধর্মঘটের ডাক, বাড়তে পারে জিনিসের দাম!
বেআইনি গরু পাচারের বিরুদ্ধে বুধবার সকাল থেকে কলকাতা, সল্টলেক, মুর্শিদাবাদ ও মালদহের ১৬টি জায়গায় একই সঙ্গে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। পরে এফআইআরে সিবিআই যে অভিযোগ করেছে তা বেশ চাঞ্চল্যকর। তাতে বলা হয়েছে, বিএসএফ কুড়ি হাজারেরও বেশি গরু আটক করেছিল। কিন্তু রহস্যজনক হল, কোনও পাচারকারীকে তারা আটক বা গ্রেফতার করেনি। কিংবা কোনও ট্রাক বা গাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়নি। সিবিআইয়ের এক অফিসারের কথায়, ব্যাপারটা এমন যে গরুগুলো যেন নিজেরাই হেঁটে হেঁটে সীমান্ত পেরিয়ে যাচ্ছিল। এ কথা বলে, আসলে নেপথ্যে বড় চক্রের ইঙ্গিত করতে চাইছেন সিবিআই অফিসাররা।
লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীও সেই দিকে আঙুল তুলতে চেয়েছেন। তাঁর কথায়, “তৃণমূল নেতারা কত করে মাসোহারা পেত সেই রেট পুলিশ যেমন জানে তেমন পাবলিকও জানে।” তিনি আরও লেখেন, “মুর্শিদাবাদে এটা ওপেন টু অল! যারা ক্ষমতায় থাকে পাচারকারীদের কাছে তাদেরই কদর। কলকাতা পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে ‘দিদি’র দলের ভবিষ্যৎদের জন্য টাকার পাহাড় তৈরিতে গরু পাচারে বিরাট ভূমিকা রয়েছে।”
গরুপাচার ঘিরেই বছরে কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন হয় দুই দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া বা উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলাগুলির এক একটিতেই। তা যে স্থানীয় নেতা, বিএসএফ, কাস্টমসের একাংশের বদান্যতা ছাড়া চলতে পারে না তা স্পষ্ট এবং যা নিয়ে বছর কয়েক আগে তপ্ত হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি, যখন মুর্শিদাবাদের সুতির বিধায়ক চিঠি লিখেছিলেন এ নিয়ে।
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের গড়ে ভাঙন, খড়গপুরের ৫০ বিজেপি নেতাকর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে