বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ও রীতি হল প্রত্যেক অনুষ্ঠানের শেষে গাওয়া হয় ‘আশ্রম সঙ্গীত’, তারপরই শেষ হয় অনুষ্ঠান। কিন্ত রবিবার ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে সেই রীতি ভঙ্গ হলো। গাওয়া হল না আশ্রম সঙ্গীত। আর এতেই নিন্দার ঝড় শান্তিনিকেতন প্রেমী মানুষদের মধ্যে। বিতর্ক বাড়িয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বললেন, ‘‘গুরুদেবের সময়েও যে সোনার বিশ্বভারতী ছিল তা নয়। তখনও শয়তানের আবেশ ছিল।”
সোমবার বিশ্বভারতীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সেজে ওঠে বাংলাদেশ ভবন। তৈরি হয় শহিদ বেদি। রাস্তা জুড়ে দেওয়া হয়েছে আলপনা। এদিন সকালে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি’ গাইতে গাইতে পদযাত্রায় সামিল হন পড়ুয়ারা। ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ বিশ্বভারতীর আধিকারিক, অধ্যাপক, অধ্যাপিকারা। কিন্তু অনুষ্ঠানের শেষভাগে বিতর্ক। বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ও রীতি হল প্রত্যেক অনুষ্ঠানের শেষে আশ্রম সঙ্গীত গাওয়ার পর শেষ হয় অনুষ্ঠান। কিন্তু ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে সেই রীতিই ভঙ্গ হল। বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস চত্বরে অনুষ্ঠান হলেও গাওয়া হল না আশ্রম সঙ্গীত। আর এতেই নিন্দার ঝড় বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুন: ‘নাদুস-নুদুস, ফানুস-ফানুস, ফাটুস-ফুটুস চেহারা’, অমিত শাহকে নিয়ে রসিক খোঁচা মমতার
রবিবার বিশ্বভারতীর রতনপল্লীর রামকিঙ্কর মঞ্চে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান ছিল৷ সেখানে দেওয়া ভাষণে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমি যে কথাগুলো বা যে সমস্যাগুলো বলি, তার জন্য অনেকেই আমার সমালোচনা করেন৷ কিন্তু, এই একটা কথাও আমার কথা নয়৷ গুরুদেবও তখন ভেবেছিলেন। অর্থাৎ গুরুদেবের সময়েও যে সবটা সোনার বিশ্বভারতী ছিল তা নয়৷ সেই সময়েও শয়তানের আবেশ ছিল।’’
তিনি যোগ করেন, এই সমস্ত আবেশ দূর করে গুরুদেব বিশ্বভারতীকে আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আমাদের নৈতিক দায়িত্বগুলোকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই এই ধরনের অনুষ্ঠান। তাই আমরা যেটা করছি, তার সঙ্গে গুরুদেবের ভাবনার কোন অন্তরায় নেই। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে নানা মহলে। প্রসঙ্গত, এর আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: ৬৬ জন মহিলাকে কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে ‘ধর্ষণ’, কাঠগড়ায় হুগলির ফ্লিপকার্ট ডেলিভারি বয়