Site icon The News Nest

নজরে বিধানসভা ভোট, শীঘ্রই বাংলায় আসছেন AIMIM ‌প্রধান ওয়েসি

owaisi murshidabad

নজরে একুশের বিধানসভা ভোট। খুব শীঘ্রই বাংলায় আসছেন আসাদুদ্দিন ওয়েসি। মিম প্রধানের সঙ্গে বৈঠক শেষে জানালেন দলের মুখপাত্র আসীম ওয়াকার। মিমের বাংলার শীর্ষ নেতারা আজ হায়দরাবাদে গিয়ে ওয়েসির সঙ্গে বৈঠক করেন। মিম সূত্রে খবর, বাংলার জেলাগুলিতে সাংগঠনিক অবস্থা ও ভোটে লড়ার রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।এদিনের বৈঠক শেষে মিমের মুখপাত্র আসিম ওয়াকার জানান, খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গে আসবেন আসাদউদ্দিন ওয়েসি।

মুর্শিদাবাদ থেকে ইতিমধ্যে মিমের একটি প্রতিনিধি দল হায়দরাবাদে যায়। সেখানে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। বাংলার ভোটের রণনীতি নিয়ে বৈঠকও হয় বলে খবর। শোনা যাচ্ছে বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় অন্তত ১০০টির বেশি আসনে প্রার্থী দিতে চলেছে মিম। তবে অনেকে বলছেন মিম বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে। তাই মিম আলটপকা কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না।

আরও পড়ুন: “অমিত শাহের চাকর হয়ে থাকবেন না”, চিঠিতে স্বরাষ্ট্রসচিবকে কড়া বার্তা কল্যাণের

মিম সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে বিভিন্ন জেলায় প্রার্থী দেওয়া নিয়ে ওয়েসির সঙ্গে আলোচনা করেন রাজ্য নেতৃত্ব। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা–সহ রাজ্যের ২৩ জেলায় মিমের প্রায় ১০ লক্ষ সদস্য রয়েছে।

সম্প্রতি বিহার বিধানসভায় ভালো ফল করেছে ওয়েইসির দল। তখনই তাদের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল এবারের লক্ষ্য বাংলা। এরাজ্যে একাধিক জায়গায় বিগত বছর খানেক ধরেই সংগঠন বানানোর কাজ চালিয়ে গিয়েছে মিম। বিহার ভোটে ভালো ফলাফলের পরেই ওয়েইসি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পরবর্তী লক্ষ্য বাংলা। এখানে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দিতে চলেছেন তারা। উত্তরবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলাকে বিশেষ ভাবে টার্গেট করে রেখেছে মিম।

গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটের নিয়ম হল একদল অন্য দলের ভোট কাটবে। কংগ্রেসের ভোট গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। একই ভাবে এ বাংলায় সিপিমের ভোটও গিয়েছে বিজেপিতে । সিপিএমের ভোট সিপিএমে পড়বে বলে যে প্রচার চলত, তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তাবলে বিজেপিকে কেউ ভোট কাটুয়া বলে না। এ বাংলায় কংগ্রেস প্রায় সাইনবোর্ড। এখন তার জেতার শক্তি নেই। কেবল সে ভোট কাটতেই পারে। সিপিএমও বহু জায়গায় তাই। তার পরেও ভোট কাটুয়া বলা হবে কেবল মিমকেই। এতেই আপত্তি তাদের।

একথা সত্য যে, এ বাংলার সংখ্যালঘু মুসলিমদের ভোটের একটা বড় অংশ তৃণমূল পাচ্ছে। বাম ভোটের একটা বড় অংশ বিজেপিতে ভিড়ে গিয়েছে। কংগ্রেস ও সিপিএম জোট করে বাঁচতে চাইছে। বিজেপির আস্ফালন বাড়ছে। এমন অবস্থায় মিম যদি তার নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ দেখে তাহলে সমস্যা কোথায়? সব রাজনৈতিক দলের অধিকার রয়েছে নিজের ভোটব্যাংক দেখার। তাহলে তা মিমেরই বা থাকবে না কেন ? এ প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন: বাড়ি ফিরেই ছেলেকে খাওয়াতে বসলেন হার্দিক! মুগ্ধ নেটিজেনরা

Exit mobile version