করোনায় বাতিল হয়ে গেল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল সেমিস্টার, কীসের ভিত্তিতে নম্বর, জানাল শিক্ষা দফতর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

The News Nest:  উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আগেই বাতিল হয়েছে৷ এবার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাও বাতিল হল। আজ রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অ্যাডভাইজারি দিয়ে জানানো হয়েছে, বর্তমান করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই পরীক্ষা নেওয়া যাবে না৷ আগের পরীক্ষার সর্বোচ্চ নম্বর ৮০ শতাংশ এবং ২০ শতাংশ নম্বর অ্যাসাইনমেন্টের উপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত বছরের নম্বর দিতে হবে।

ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা বাতিল করা হলেও উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে , ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ফাইনাল সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশ করতে হবে । তবে এই মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যদি কোনো পরীক্ষার্থী অসন্তোষ প্রকাশ করবেন কিংবা যারা পরীক্ষা দিতে চাইবেন, তাঁরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নতুন করে পরীক্ষা দিতে পারবেন৷ চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার্থী না হলে সরাসরি পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হবে৷

প্রসঙ্গত , মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন ফাইনাল সেমিস্টার ছাড়া অন্যান্য সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে হবেনা ছাত্র-ছাত্রীদের । শনিবার উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে জারি করা প্রস্তাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগের সেমিস্টারগুলিতে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী সেমিস্টারে উঠে যেতে পারবেন । 

আরও পড়ুন: চাকরি খুঁজছেন? টিভি দেখে সপ্তাহে আয় করুন ৬৫ হাজার টাকা!

বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে প্রস্তাব বা সুপারিশে বলা হয়েছে-

*রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মূল্যায়ন ব্যবস্থা একই রকম থাকতে হবে সব বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য । স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষার বদলে আগের পাঁচটি সেমিস্টারের থেকে প্রাপ্ত নম্বর থেকে যে সেমিস্টারে সব থেকে বেশি নম্বর পেয়েছে সেই নম্বর ফাইনাল সেমিস্টার পরীক্ষায় যোগ করে ছাত্র-ছাত্রীদের রেজাল্ট দেওয়া হবে । সেক্ষেত্রে এই নম্বরের ওয়েটেজ বা গুরুত্ব থাকবে ৮০%, বাকি ২০ শতাংশ ফাইনাল সেমিস্টারের ইন্টার্নাল অ্যাসেসমেন্টের ওপর । এই দুই-এর উপর ভিত্তি করেই ফাইনাল সেমিস্টার তথা ছাত্র-ছাত্রীদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের মার্কশিট  তৈরি হবে।

*ফাইনাল সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই করতে হবে ।

*রাজ্যে যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল কোর্স অর্থাৎ ইঞ্জিনিয়ারিং , আইন , ম্যানেজমেন্ট ,ফার্মাসি , শিক্ষক প্রশিক্ষণ- সহ অন্যান্য প্রফেশনাল কোর্সের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন করায় , তাদেরকেও একই নিয়ম মানতে হবে পড়ুয়াদের  ফাইনাল সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশের জন্য ।

*যদি কোনও ছাত্র-ছাত্রী এই মূল্যায়ন পদ্ধতির বদলে লিখিত পরীক্ষায় বসতে চায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়কে সেই ছাত্র বা ছাত্রীকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে । সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা তখনই নিতে পারবে যখন বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পরীক্ষা নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে । এক্ষেত্রে সেই ছাত্র বা ছাত্রী লিখিত পরীক্ষায় যে নম্বর পাবে সেই নম্বরকেই চূড়ান্ত নম্বর হিসেবে ধার্য করা হবে । বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ছাত্র-ছাত্রীদের স্পেশ্যাল এই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আগে থেকে মুচলেখা নিতে হবে ।

*ফাইনাল সেমিস্টার ছাড়া অন্যান্য যে সেমিস্টারগুলি রয়েছে , সব ছাত্র-ছাত্রীদের পরবর্তী সেমিস্টারে পাশ করিয়ে দিতে হবে ।

*করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার । রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সময়ে শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে ।

*লকডাউনের জন্য চলতি শিক্ষাবর্ষের পঠনপাঠনের যে ক্ষতি হয়েছে , সেই দিনগুলিতে পড়ুয়াদের  উপস্থিতি গণ্য করতে হবে ।

*অনলাইনে ক্লাস করার জন্য কোনো রকম অতিরিক্ত টাকা বা ফি নেওয়া যাবে না ।

*নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুসরণ করতে হবে , অন্যান্য মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ইগনু-এর মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কী পদক্ষেপ নিচ্ছে পরীক্ষার পদ্ধতির ক্ষেত্রে ।

*প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজকে একটি করে অভিযোগ জানানোর জন্য অভিযোগ সেল খুলতে হবে । যেখানে ছাত্রছাত্রীরা পঠন-পাঠন ও পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন অভিযোগ থাকলে তা জানাতে পারবে।

আরও পড়ুন: চন্দ্রপৃষ্ঠে সফট ল্যান্ডিংয়ের এবার পথে দেখাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

Gmail 6

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest