সবে একমাস পেরিয়েছে বিয়ের। এর মধ্যেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে নববধূকে দিয়ে দেহব্যবসা করানোর অভিযোগ উঠল তার সদ্যবিবাহিত স্বামীর বিরুদ্ধে। বসিরহাট মহকুমার অন্তর্গত হাড়োয়া থানার শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আন্দুলিয়া গ্রামের ঘটনা।
বিয়ের সময় ৫ লক্ষ টাকা পণ (Dowry) নেওয়া হয়েছিল মেয়ের বাড়ি থেকে। সাধ মেটেনি তাতেও। বিয়ের পর স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে আরও কিছু নিয়ে আসার জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হতে থাকে।বধূ প্রতিবাদ করলে তাঁকে দেহ ব্যবসায় (Flesh Trade) নামানোর মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। এরপর চলল মারধরও। স্বামীর অত্যাচারে জর্জরিত স্ত্রী শেষপর্যন্ত হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তা জানতে পেরেই চম্পট দেয় স্বামী। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: গুগল প্লে স্টোর থেকে সরল একদা মোদির ‘ভরসার’ Paytm, ফের গ্রাহকদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন
পুলিশের কাছে ওই গৃহবধূ অভিযোগে জানান, বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে তার উপর ক্রমাগত মানসিক নির্যাতন শুরু করেন তার স্বামী সমীর ঘোষ। কিছুদিন আগে তিনি স্ত্রীকে বলেন বাপের বাড়ি থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা এবং আরও তিন ভরি সোনা নিয়ে আসতে। সেই প্রস্তাবে রাজি হননি ওই যুবতী।
সংবাদমাধ্যমে এদিন ওই গৃহবধূ বলেন, “আমার বাবা ফুচকা বিক্রি করে সংসার প্রতিপালন করেন। আমার বাবা এত টাকা পাবেন কোথায়?” কথা অনুযায়ী বাপের বাড়ি থেকে টাকা না আনায়, সমীর ঘোষ তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী’কে জোর করে দেহব্যবসায় নামানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এমনকি বিক্রি করে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ওই যুবক তার স্ত্রীকে বেশ কয়েকবার কলকাতার কয়েকটি বারেও নিয়ে গেছেন বলে জানা যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সমীর ঘোষ প্রায় প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করতেন। শুধু শারীরিক নির্যাতনই নয়, বন্ধুদের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে স্ত্রীর ঘরে অন্য পুরুষ ঢুকিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে এই যুবকের বিরুদ্ধে। এমনকি স্বামীর নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ওই নববধূ চিকিৎসাধীন ছিলেন বলেও জানা যায়। ওই গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে হাড়োয়া থানায় যুবতীর স্বামী সমীর ঘোষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আবার চিন! কোভিড অতিমারীর মাঝেই ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ, বন্ধ্যাত্বের মুখে কয়েক হাজার পুরুষ