বিজেপির চুনো নেতারা নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে একেবারেই পছন্দ করেন না। উনি বিজেপির বিভাজন রাজনীতি ও বিদ্বেষ রাজনীতির সরাসরি বিরোধিতা করেন। সম্ববত সে কারণেই ফের তাঁকে চাপে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। তবে নোবেলজয়ীর পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। লিখেছেন চিঠি।
বিশ্বভারতীর জমি বিতর্কে ‘আপনার সমর্থনে ভরসা পেলাম’। এই ভাষাতেই ‘বোন এবং বন্ধু’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির উত্তর দিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ঘটনাচক্রে সোমবার অমর্ত্য সেনের বাড়ির কাছাকাছি বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার বোলপুরে রাজনৈতিক কর্মসূচিও রয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুন: বিভাজনে ব্যস্ত বিজেপি! ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’, প্রশাসনিক বৈঠকে নয়া কর্মসূচি মমতার
মমতার চিঠির জবাবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ লেখেন, ‘চিঠিতে আপনার সমর্থনের কথা জানতে পেরে আমি খুব খুশি। এটা শুধু আমাকে স্পর্শ করেনি, আমাকে আশ্বস্ত হয়েছি। আপনার ব্যস্ত জীবনের মধ্যেও আক্রান্ত মানুষের জন্য আপনি সময় বের করেছেন। আপনার শক্তিশালী কণ্ঠ, যা ঘটছে তা নিয়ে আপনার উপলব্ধি আমার কাছে শক্তির উৎসস্বরূপ’।
বিশ্বভারতীর জমি বিতর্কে তাঁর পাশে দাঁড়ানোয় মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন ওই অর্থনীতিবিদ।
শান্তিনিকেতনে ‘প্রতীচী’র জমি ঘিরে বিতর্ক তৈরি শুরু হয়েছে। তার পরই লিঠি লিখে ওই অর্থনীতিবিদের পাশে থাকার বার্তা দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, জমি বিতর্কের কথা জানতে পেরে তিনি ‘বিস্মিত এবং আহত’।
মমতার বার্তা, ‘বিশ্বভারতীর কিছু নব্য হানাদার সম্প্রতি আপনার পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে’। সেই সঙ্গে বলেন, ‘এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠতার গোঁড়ামির বিরুদ্ধে আপনার লড়াইয়ে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে’।
আরও পড়ুন: বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীকে চাঁদে জমি কিনে দিলেন রাজস্থানের এই ব্যবসায়ী