মেদিনীপুরে দুই মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর শনিবার বালিজুড়িতে কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বৈজয়বর্গীয়-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারাও। এ দিন দুপুরে বালিজুড়ির বাসিন্দা সনাতন সিংহের বাড়িতে পৌঁছন অমিত।
সনাতনবাবুর বাড়ি তো বটেই, শাহের সফর ঘিরে এদিন সকাল থেকে গোটা গ্রামে রয়েছে আঁটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গ্রামবাসীদের গতিবিধিও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এদিন শাহের জন্য আয়োজনে ছিল স্যালাড, শুক্তো, পোস্ত দিয়ে শাক, লাউ দিয়ে মুগ ডাল, সরু চালের ভাত, ঢ্যাঁড়স ভাজা, উচ্ছে ভাজা, পটল ভাজা, ফুলকপির তরকারি, টক দই, নলেন গুড়ের রসগোল্লা, টক দই ও চাটনি।
শনিবার বেলা ১.৩০ মিনিট নাগাদ সনাতনবাবুর বাড়িতে পৌঁছন অমিত শাহ। প্রথম উঠোনে চৌকিতে বসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন তিনি। কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। এর পর মধ্যাহ্নভোজে বসেন তিনি। অমিত শাহের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়।
আরও পড়ুন: BREAKING : আবার ধাক্কা! তৃণমূল ছাড়লেন শীলভদ্র দত্ত
শনিবার বেলা ১২ টার কিছু পরে মেদিনীপুর শহর লাগোয়া আবাসের স্থায়ী হেলিপ্যাডে নামে অমিতের কপ্টার। সেখান থেকে তিনি পৌঁছন হবিবপুরে ক্ষুদিরামের মাসির বাড়িতে। ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মাল্যদান করে তিনি। ক্ষুদিরামের মূল বাড়ি কেশপুর ব্লকের মোহবনী গ্রামে। সেখান থেকে মেদিনীপুরে পৌঁছেছিলেন ওই বিপ্লবীর আত্মীয়রা। তাঁরা ক্ষুদিরামের জন্মভিটার উন্নতির জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। পাশাপাশি এ-ও অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দিন ধরে ওই এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি। তাঁদের কথা শোনেন অমিত। ক্ষুদিরামের নিকট আত্মীয়দের উত্তরীয় পরান তিনি।
ক্ষুদিরামের মাসির বাড়িতে মিনিট তিনেক ছিলেন অমিত। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘ক্ষুদিরামকে নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। ক্ষুদিরাম যেমন বাংলার, তেমন ভারতেরও। তিনি গীতা হাতে নিয়ে ফাঁসির মঞ্চে উঠেছিলেন।’’ এর পর সেখান থেকে রওনা দেন সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে। ক্ষুদিরামের জন্মভিটের উন্নয়ন না হওয়ার অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা। তিনি বলেন, ‘‘মোহবনী গ্রামের উন্নয়নের জন্য মডেল ভিলেজে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। শহিদ বেদী, মিউজিয়াম, লাইব্রেরির উন্নয়ন করা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: মেদিনীপুরে পৌঁছলেন শাহ, কাঁথির বাড়ি থেকে গেরুয়া তিলকে বেরোলেন শুভেন্দু