‌দু’‌দিনের ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, বিমানবন্দরে পুষ্পবৃষ্টি সমর্থকদের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দু’দিনের সফরে বুধবার রাতে কলকাতায় পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নিউ টাউনের একটি অভিজাত হোটেলে রাত কাটিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া পৌঁছেছেন তিনি। সেখানে তাঁর একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে। বাঁকুড়ায় পৌঁছেই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া পুয়াবাগানে বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। এরপর তিনি চলে যাবেন বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে দলীয় নেতামন্ত্রীদের সঙ্গে সারবেন সাংগঠনিক বৈঠক।

বৈঠক সেরে তিনি যাবেন চতুরডিহি গ্রামের বাসিন্দা আদিবাসী বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে। সেখানে সারবেন মধ্যাহ্নভোজ। জানা গিয়েছে, তাঁর মেনুতে থাকবে ভাত, ডাল, আলুভাজা, আলুপোস্ত, পোস্তর বড়া, চাটনি, পাপড়, মিষ্টি। সেখান থেকে ফের রবীন্দ্রভবনে ফিরে দুপুর ৩টে নাগাদ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন তিনি।

শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে গিয়ে পুজো দেওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। সেখান থেকে ১১টা নাগাদ যাবেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে। সেখানে তাঁর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতা সারবেন। এর পর দুপুর ১টা নাগাদ তিনি যাবেন বিধাননগরের EZCC-তে। সেখানে কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলির দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন শাহ।

এর পর নিউটাউনের আদর্শপল্লীর বাসিন্দা বিজেপি কর্মী মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নবীন বিশ্বাসের বাড়িতে সারবেন মধ্যাহ্নভোজ। সেখানে মেনুতে থাকছে রুটি, ছোলার ডাল, পনির, ভাত, শুক্তো, মুগডাল, চাটনি ও পায়েস। বিকেলে সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। শুক্রবার রাতে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন অমিত শাহ।

আরও পড়ুন: উড়ে এসে এখন জুড়ে বসেছেন,মতুয়া বাড়িতে আমিই প্রথম গিয়েছিলাম,মন্তব্য মমতার

বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পৌঁছনোর কথা ছিল তাঁর। কিন্তু কিছুটা দেরিতে রাত ৯টা বেজে ৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামে অমিত শাহর বিমান। কয়েকঘণ্টা আগে থেকে ঢাক–ঢোল, করতাল নিয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন গেরুয়া শিবিরের সমর্থক, কীর্তনশিল্পীরা। তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরোতেই সমস্বরে সে সব বেজে উঠে এক অন্য উদ্দীপনা সৃষ্টি করে এদিন। এর জেরে সাময়িক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় বিমানবন্দর চত্বরে।

এদিন বিমানবন্দরে নেমে বেশ কিছুটা পথ হেঁটে যান বিজেপি–র প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁকে রাজ্যে স্বাগত জানান দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, অনুপম হাজরারা। পুষ্পবৃষ্টি করে অভ্যর্থনা জানানো হয় দলের তরফ থেকে। পাল্টা হাত নেড়ে অভিবাদন জানান তিনি। একইসঙ্গে হাত দিয়ে ইশারা করে নিজেই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

কলকাতা বিমানবন্দরে শাহের সঙ্গে দেখা করেন জেল হেফাজতে মৃত পটাশপুরের বিজেপি কর্মী মদন ঘোড়ইয়ের স্ত্রী ও দাদা-সহ পরিবারের চার জন। এর পরে শাহ টুইট করেন, ‘‘তাঁর নির্ভীক পরিবারের সামনে আমি নতশির। পশ্চিমবঙ্গে হিংসা এবং অবিচারের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে যে কর্মীরা চূড়ান্ত আত্মত্যাগ করেছেন, বিজেপি তাঁদের কাছে চিরঋণী থাকবে।” বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি যান রাজারহাটের ইকোপার্কের বিপরীতে বিলাসবহুল হোটেল ‘‌ওয়েস্টইন’‌–এ।

রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে সেখানে অমিতাভ চক্রবর্তীকে দায়িত্ব দেওয়ার পর রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের শিবির ‘অসন্তুষ্ট’। অন্য দিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের শিবিরের ক্ষমতা বেড়েছে বলে দলের একাংশের অভিমত।আজ ও কালকের বৈঠকে শাহের সামনে ওই দুই শিবিরের দ্বৈরথ প্রকাশ পায় কি না, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে বিজেপিরই অন্দরে।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের জেরে আকাশ ছোঁয়া দাম আলু–পেঁয়াজের, নাজেহাল বাংলা

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest